রিমু নামের একটি অজানা মেয়ে বলল যখন আমায়!
মাথার চুল গুলে একটু ছোট কর সুন্দর দেখাবে তোমায়।


সেদিন থেকে মনের মাঝে লাগল প্রেমের দোলা তখন থেকে তারে ভুলতে পারি নাই,
হয়েছিলাম মন ভোলা।


শয়নে-স্বপনে চিন্তায় চেতনায় জপতাম তার
নাম,
তারে আমি আপন ভেবে দিয়েছিলাম ভালবাসার খাম!


সেখানে ছিল দুটি কবিতা আমার ছিল প্রিয়,
তাকে বললাম এই দুটি কবিতা পড়ে ভালবাসার রেজাল্ট-টা দিও,
সে আমার খাম নিল না করল উপহাস!
আমি তো ভাই তা দেখে হয়ে গেলাম হতাস।


রাগ মেখে মুখ ভার করে গেলাম ৩০৩ নাম্বার রুমে,
সেখানে একটু মাথা হেলে শুইতে ধরল মোরে ঘুমে।


একটু জ্রাগত হয়ে দেখলাম টুপটাপ বৃষ্টি ,
কলেজের কোথাও কেউ নাই যতদূর যায় দৃষ্টি।


কলেজের কেরানি বলল বাবা! যাবি না তুই বাড়ি,
রুম এখন বন্ধ করব নিচে নাম তাড়াতাড়ি?


নিচে নামলাম !গুটি গুটি পা দিয়ে কলেজ গেট পেরুলাম


আমার কোন যানবাহন নেই!
নেই পালসার গাড়ি বাধ্য হয়ে অটো চড়ে
দিলাম পথ পাড়ি।



বাড়ি গিয়ে খানা খেয়ে খাইলাম ঘুমের পাচটি বড়ি,
আমি আর পৃথিবীতে বাচতে চাইনা
সব হয়েছে ছিড়িবিড়ি।


হঠাৎ সতের ঘন্টা পর হলাম জ্রাগ্রত
বাবা-মা পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছে অবিরত,
ডাক্তার মশাই প্রশ্ন করে কি
হয়েছে বাবা তোমার,
আমি মাথানত করলাম দিলাম না কোন
সাড়া
মুখে কোন বল নেই হয়েছি শক্তিহারা!
এ্যাম্বলেন্স করে সুন্দরগঞ্জ নিয়ে গেল হল শরীরের একটু উন্নতি ১দিন হাসপাতালে থাকার পর আবার ফিরে এলাম বাড়ি।


হাজার-হাজার লোক প্রশ্ন করিতে লাগল গ্রামের মানুষ জন,আমি নিশ্চুপ হয়ে রইলাম তারা প্রশ্ন করল যতক্ষণ?
কেউ বলে ছেলেটি পাগল হয়েছে,
হয়েছে জ্ঞান-হারা একে বুঝি আর বাচা যাবেনা যাবে না ফেরা।


কি হয়েছে! কি হয়েছে প্রশ্ন করল মোর বাবা-মা কে, কেউ বা আমায় সোহেল বলে ডাকে।
আমি নিশ্চুপ হয়ে রইলাম আর মানুষের যাতনা-গঞ্জনা সইলাম!
একটু রাত হল বাড়ি প্রায় ফাঁকা
তখন আমি আঙিনার মাঝে বসে রইলাম একা।


মাকে বললাম ভাত দে খিদে পেয়েছে,
মা আমার কথা শুনে করল হা
এক থালি ভাত এনে বলল খা বাবা ভাত খা?


কই-গো আশিকুরের বাপ ভাল হইছে তোমার ব্যাটা!
মাও খুশি বাবাও খুশি হাসছে খিল খিল
আমিও তাদের সাথে হাসির সঙ্গে দিলাম একটু মিল।


মা-বাবা প্রশ্ন করে কি হয়েছে বাবা তোর
আমি জানি না কি হয়েছে মোর,
কালকে সকাল-শুকাল ভাত রাধবি করবি নাকো দেরি!
নাইতে কিন্তু রাগ করে যাব বাড়ি ছাড়ি।


বাবুল স্যারের ক্লাস আছে ডাকবি ভোরবেলা
অনেক গুলো পড়া বাকি আছে পড়তে সময় লাগিবে মেলা!


সকাল হল ভাত খেয়ে গেলাম কলেজ মুখে
রিমু নামের মেয়েকে দেখে বুক ভরে ওঠল দুঃখে,
কি করি ! কি করি কাঁপছে সারাদেহ
ঐ-খানে একটু বসে রইলাম দেখলাম না কেহ।


হঠাৎ দেখি ১০১ নাম্বার রুমে যাচ্ছে বাবুল স্যার,আমি উঠে দৌড় দিলাম ক্লাস করিতে হবে তার।
ঘন্টা শেষে আপন মনে বসে রইলাম বেঞ্চের ঐ সিটে, হঠাৎ দেখি মহৎ আমার চড় মারল পিঠে!
কি বন্ধু বসে কেন,
শহীদ মিনারের পাদদেশে চল
আনন্দ হবে ওখানে কি হয়েছে আমায় তুই বল।
আমার কোন আনন্দ নেই সব হয়েছে শেষ,
যদি পারিস আমায় একটু মরার পরামর্শ দেইস!
কি বলিস বন্ধু তুই কি হয়েছে তোর!
আমায় একটু বল যদি খোলে তোর ভ্যাগ্যের দোর।


রিমু নামের একটি মেয়েকে দিয়েছিলাম ভালবাসার খাম,
সে আমায় চুল পরিমাণ ভালবাসে নি
দেয়নি একটূ দাম।


ঐ কাল রঙ্গের মেয়ের জন্য হয়েছিস তুই পাগল আসলে তুই একটা ছাগল!
কত রঙ্গের মেয়ে দরকার আমায় একটু বল
তবু তুই কাঁদবি না ফেলবি না চোখের জল।


দেখ মহৎ তিস্কার করবি না চাইনা বাহারী মেয়ে যদি পারিস আমার রিমুকে এনে দে,
ও আমার স্বপন ঘুম পাড়ানোর রাণী
ওরে তুই রাজি করাতে পারবি তা আমি জানি?


এই বলে বাড়ি আসলাম ভাবি রিমুকে সর্বক্ষণ
পড়াশুনা ভাল লাগে না উদাস হয়ে গেল মন,
পরের দিন কলেজ এসে হয়ে গেলাম নিঃশব্দ ও নাকি অন্য ছেলে শাকিলের সাথে প্রেমের সমপর্কে আবদ্ধ।


অমনি আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল
অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়তে সুজন মোর হাত টেনে ধরল,
আমার ভাগ্য প্রেম নেই
নেই যে কোন নারী!
তাই আজ কলেজ আসা একেবারে দিলাম ছাড়ি।
সেদিন থেকে কলেজ ১০দিন যাইনি সবার সাথে করেছিলাম আড়ি?
মা-বাবা কেঁদে কেঁদে কয় কি যা বাবা কলজ অযথা কুচিন্তা করে নষ্ট করিস না নলেজ,


মা বলে তোর নিয়ে মোর অনেক আশা করিস না তুই নষ্ট তাহলে আমি মনের মাঝে পাব বড় কষ্ট !


মনের সাথে পরামর্শ করে আবার কলেজ আসা করলাম শুরু রিমু কে যখন দেখি তখন বুক কাঁপে দুরুদুরু!


বন্ধু-বান্ধব সবাই কে বরলাম করিস না-রে বিরক্ত ও তো শাকিলের ভক্ত,
ভালবাসা জোর করে পাওয়া যায়না লাগে সুন্দর মন!
আল্লাহর কাছে দোয়া করি ও যেন সুখে থাকে সর্বক্ষণ।


ওর হাসি আমার হাসি ও যে আমার সুখ ওরে আমি কষ্ট দিয়ে বইতে পারব না দুঃখ!


আজ থেকে রিমু কে ভুলে গেলাম
বাসব না কোন মেয়ে কে ভাল !
আধাঁরে আছি আধাঁরে থাকব ,
আর নতুন করে জ্বালাতে চাইনা প্রেমের আলো....



( বামনডাঙ্গা আব্দুল হক মহাবিদ্যালয় যখন পড়তাম সবে কলেজে নতুন সেই রিমু কে লিখেছিলাম..... জানি না রিমু আজ কোথায়???