যত্র-তত্র
কাগজ পলিথিন খোঁজে টোকাই নামে এক ছেলে
পথে-ঘাট চলতে ফিরতে তার কপালে কত লাথ্থি না মিলে,
বিলাস-বহুল গাড়ির মালিক বাবু
টোকাই ছেলেকে চড় মেরে বলে
এ্যাখান থেকে তুই যাবু।


টোকাই নিঃশব্দে কেঁদে কেঁদে কয়
আমার জীবন এভাবে কি
তিলে তিলে হবে ক্ষয়।


গত দুইদিন খাইনি ভাত খিদায় জ্বলছে বুক
আমি কি আর পাব না সুখের দেখা মুখ?


আমার আর্তনাদ বোঝার মানুষ
নেই কি কেউ
যেখানে যাই সেখানে শুধু কুকুরের মত
করে ঘেউ!ঘেউ!


আমি বুঝি মানুষ নই
হয়তবা অন্য কিছু,
কেন তুমি আজ আমারে বানাইলা
এত বড় নিচু?



ক্ষুদার তাড়নায় ছুটলাম বিয়ের এক বাড়ি! সেখানে কুকুরের আহার থেকে কিছু খাদ্য নিলাম কাড়ি!


সকলে কে পুছ করলে
বলে যে ফাঁকা তার হাঁড়ি।
কেউ বলে জানোয়ার
কেউ বলে জারজ
কেন তুমি শুনতে চাওনা আমার
এই আরজ?


গোস্ত বিহীন হাড্ডি মাঠিতে লাগা ভাত,
ওমনি হাপুস- হুপুস খেয়ে নিলাম পেলাম না তেমন স্বাদ।


মাথা দুলছে, পা দুলছে, দুলছে সারা দেহ!
ঐখানেতে শুয়ে রইলাম খোজ নিল না কেহ।


মা নেই,বাবা নেই কোন আপন জন, বছরের পর বছর যায় আসে না শুভক্ষণ।


সকাল হল পেটে যে
আমার খিদে পেল,
দেখি পাশের বাড়ি
হতে চুরি খাওয়া যায় নাকি দুটো ভাত।


পাশের বাড়ির গেটবন্ধ
নেই যে কোন রাস্তা,
তাহলে বুঝি খাওয়া হবে না
সকালের ঐ নাস্তা।


কাগজ বিকিয়ে পাইছিলাম ২০-৩০ টাকা
শাহাবাগ মোড় দিয়ে
চলতে হ্যাইজ্যাক হল টাকা,
ভাগ্য আমার খুব খারাপ তাই
পকেট যে হল ফাঁকা?


{আসুন, আমরা টোকাইদের
পাশে সাহায্যের হাত বাড়াই}