চারিদিক নীরব নিস্তব্ধ রাজ্যের কোলাহল মুক্ত
শহর থেকে অনেক দূর, নদীর পাড়ে, রাস্তা সংযুক্ত।
শোঁ-শোঁ শব্দ একটু একটু বাতাস বয়ে যাচ্ছে
শরীর কেনো যেনো শীতল, রক্ত ঠান্ডা হচ্ছে
ভাঙা দেয়ালে বট গাছ খেলা করে নীরবে
শেওলা মাঝে ছোট চারা লতা কুঞ্জ জীবন সংগ্রামে
দূর কোথাও ঘুঘু পাখি ডাকছে তো ডাকছে থামার জো নেই
ঝিঁ-ঝিঁ পোকা ডাকে, ঘুণে ধরা জানালা বাতাসে, কে...এ বাজে।
শেষ বিকেলের অস্ত রবির কিরণ এই এলো, আর হারিয়ে গেলো
নীবর চারপাশ বিকেল যাচ্ছে ডুবে আঁধারে
ঝরাপাতাগুলো হাওয়ার তালে এখান-ওখান দোল খাচ্ছে
পাশের কক্ষে নূপুরে ধ্বনি বাজে কোনো ললনার পায়ে
আসলে সবি খেয়াল, দু’চারটা পায়রা গেলো উড়ে
কে যেন পিছু-পিছু হাঁটছে, ফিরে! নেই কেউ, আমি একা দাঁড়িয়ে
শতাব্দীর পুরাতন এই বাড়ী, কে ছিলো শেষ অবধি
ভাঙা দেয়ালে গায়ে কার নাম যেনো লেখা
মুছে গেল ঝাপসা চোখে যায় না দেখা
তবে, যোগ চিহ্ন দেখতে পারি খালি চোখে
কারো ভালোবাসার চিহ্ন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে জীর্ণ-ঝরা 'ভূত বাড়ী'।


রচনা কাল-বুধবার
১১অগ্রহায়ণ ১৪২২ বঙ্গাব্দ
২৫শে নভেম্বর ২০১৫ খ্রীষ্টাব্দ
১২সফর ১৪৩৭ হিজরী
দাম্মাম, সৌদিআরব