প্রিয় দেশ আমার রূপে অপরূপ
যে দিকে নয়ন যায় শুধুই সবুজ,
পাবে না কেউ দেশ এমন সরূপ
এই সহজ-সরল মানুষ অবুঝ।


পাখির ডাকে ভোর হয়,ভাঙ্গে ঘুম
উৎসবে মেতে উঠি,ফুটে যে কুসুম,
চারিদিকে বাজে আজানের ধ্বনি
নামাজে ছুটে যাই,যত গরিব ধনী।


চেয়ে দেখি ভুবনে রবির কিরণ
হিমেল হাওয়া বহে,লাগে শিহরণ,
মুখরিত চারদিক,বাংলার বুক
ভরেনা যে হৃদয়,দেখিয়া তার মুখ।


পাহাড়ে কান্না ঝড়ে পানি হয়ে ঝর্ণা
এলোমেলো করে দেয় কখনও বন্যা,
ফসল ক্ষেতে খেলা করে ধান স্বর্ণা
গাঁয়ের বৌ চিকন দাঁতে হাসে সুবর্না।


নদী মিশে সাগরে কি মিল আহারে
বাঙালীরা ছোট-বড় খাই এক পাতে,
চারিদিক পাখি গায় গান বাহারে
হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ থাকি এক সাথে।


এই খানে ঈদ অন্য পাড়ায় পূজা
সব সরিক কেউ নয় কারও বুঝা,
হাজার বছরের সংস্কৃতি এমন
হয়নি বদল কভু যেমন–তেমন।


মিলেমিশে এক পরিবারই যেন
যাবনা ছেড়ে ঝড় আসুক না কেন,
এলে বিপদ লড়ি এক সাথে মিলে
বাঙালীর জয় ধ্বনি বাজে সব দিলে।


রচনাকাল-রবিবার,দাম্মাম,সৌদিআরব
২৭ই ডিসেম্বর ২০১৫ খ্রীষ্টাব্দ
১৩ পৌষ ১৪২২ বঙ্গাব্দ
১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৩৭ হিজরি