ভোর না হতেই তড়িঘড়ি শুরু;
তারপর ঘন্টা পাঁচেক,
তারপর? যে রুমটায় জায়গা হতোনা একটা বাড়তি চেয়ারের-
সেইরুমে শূণ্যতার হাহাকার!
আসবাবগুলো চলে গেলো নতুন ঠিকানায়,
শুধু রয়ে গেলো স্মৃতিদের হুটোপুটি!
দেয়ালের ইটে ইটে তাদের লুকোচুরি খেলা!
আমি অবাক চোখে তাকিয়ে থাকি-
কী অবুঝ স্মৃতিগুলো!
ওই যে ফোকলা দাঁতের স্মৃতিটা-
কাউকে অব্যক্ত ভালোলাগার স্মৃতি।
ওই যে জানালার গ্রিলে গম্ভীর স্মৃতিটা-
প্রথম দায়ীত্ববোধের স্মৃতি।
চুপটি করে মুখ লুকানো, ওই যে কোণটাতে-
হাপুস নয়নে কাঁদা রাত!
শূণ্যে ডিগবাজি খাওয়া স্মৃতিটা-
হঠাৎই বড় হওয়ার।
ওই যে লাজুক স্মৃতিটা-
প্রথম কারো আহ্বানের!
উপুর হয়ে থাকা কান্নারত স্মৃতিগুলো-
কেবলই হারাবার।
আর উদাস উদাস স্মৃতিগুলো-
অসংখ্য কবিতার জন্মোৎসব ওরা!
আর ওই যে জটলা পাকানো একদল স্মৃতি মেঝের এক কোণে... ...


চোখ সরিয়ে নেই,থাক ওরা ওভাবেই।
তারপর ধীরে ধীরে বের হয়ে আসি।
হাত নেড়ে জানাইনা বিদায়ও!
কেন জানাবো?
আমি যে যাযাবর,
সভ্য-সামাজিক যাযাবর!
নীড় বদলাই কতোবার,
ফেলে যাই হাজারো স্মৃতি,
আমাদের যে স্মৃতিকাতরতা থাকতে নেই,
থাকতে নেই পিছুটানও!



রচনাকালঃ 31-08-13