স্বপ্নে বিভোর ছিলেম আমি খেয়াল পালকি চড়ে,
নীলাম্বরে উড়ছিলো মন বাতুল ভাবাবেগে।
বাতায়ন ভেদে হঠাৎ পবন তন্দ্রা দিলো খুলে,
অতুষ্টি এই স্বরুপ এখন সুখ বালিশের খোঁজে।


যাই ছিলো তা, ছিলোই আমার একান্ত সম্ভাব,
প্রমাদ বিভায় বাঁধিনিতো তার অমেয় সংশ্রব।
সহসা অনিল রূপ নিলে কভু ভাসাতে নীরদ তরে,
ঘন বর্ষায় ঝরে পড়া ক্লেশ হৃদয়জ্বালায় মরে।


বিভোর এ মন ভ্রমেই ছিলো সুখ ক্ষণিকের খেলায়,
রুদ্ধ নয়না আষ্টেপিষ্টে পুলক লুকায়ে পালায়,
বলিনিতো সখা নীল কুমুদের মালা গেঁথে দাও মোরে,
জোনাকী আভায় ময়ূখে ভরাও আমার শুন্য আলয়ে।


বলেছিলে সখা শুনেছিলো মোর রঞ্জিত ধমনী,
উপহার দেয় একটি শুভক্ষণের উল্লাসিত অবনি।
সেই সমাদরে অনুরাগ মোর তোমার কথন তরে,
বেঁধেছিলো সুর একই প্রাণে একটি বাতুল মনের।