একটা মানুষ— মতান্তরে পাখি— মতান্তরে খবিশ
উড়ে-হেঁটে যায়
দূরে সেঁটে  যায়
তার কথা শোনে কেওড়া গাছ
তার কথা শোনে ভাদ্র মাস— কুকুরের পরাগায়নের দিন
শুনে চুপ করে থাকে
তার সমান অপরাধী হবে না বলে


এবং পলেস্তারা খসে না মানুষের
শরীরের ফাটলে জন্মায় না গাছ
এও হতে পারে কারণ।
একটা মানুষ—
মতান্তরে বান্দী— মতান্তরে খাম্বা
রোজ সকার খেলে
রোজ পরোটা বেলে
তার শরীরে র‍্যাশের মতো গুড়িগুড়ি বৃক্ষমেলা
সেখানে কাপড়-চোপড়
সেখানে ছাঁকনি-বেলন
সস্তায় ক্লিপ-টিপ।
শরীর থেকে আরেকটু সামনে গেলেই তার ঘর
ঘরের সামনে মুদ্রাদোষের বাগান
সুন্দর ভালো লাগে না ফুটে আছে সেখানে


একটা মানুষ—
ওরফে প্যারাসিটামল— ওরফে ইসবগুলের ভুষি
আরেকটা মানুষকে পাখি বলে ডাকে
পাখিরা হাগুমুতু করে
আগ-পিছ না ধুয়েই ঢুকে পড়ে গীর্জা-প্যাগোডা— মসজিদের ঘুলঘুলিতে...
তাতে কী?
এমনি মনে করিয়ে দিলাম আরকি!