সে অনুভব করছে, তাকে উড়িয়ে নিচ্ছে দখিনা বাতাস ।
অন্ধকারেও সে ঝলমল করছে জোৎস্নার ওলা-উঠা স্বর্ণমূখী হ্রদের মতো ।
একজোড়া শিলঙ-হাত
থেকে থেকে ছুঁয়ে যাচ্ছে তার ট্রেন-কেবিনের মতো দমবন্ধ বুক ।
মুখ ছুঁই ছুঁই বেয়াড়াপনায় লিপ্ত ওড়না এক ।
সবকিছু’ই কেমন যেনো ভালো লেগে যাচ্ছে তার ।
বাতাসে চুল এলোমেলো হওয়া ভালো লাগছে,
ভালো লাগছে ভ্যাপসা গরম থেকে পেট মুচড়ে ওঠা ক্ষুধা পর্যন্ত ।
মুচকি হাসিতে সেই ভালোলাগা ধরতে ধরতেই
তার চিবুক ভর করলো তার হাতজোড় করা প্যাগোডা আঙ্গুলে ।
আঙ্গুল গুলোর ধ্যান ভঙ্গ হলো কিছু পরেই ।
চলতি অনুভূতি গুলো তাই সে লিখে ফেললো কবিতা’র মতো সাজিয়ে ।
এবং ভাবলো, পাঠিয়ে দেবে কি’না কোনো পত্রিকায় ।
কিন্তু পাঠিয়ে কি লাভ ?
সম্পাদক’রা ইদানিং ভুল করছে খুব ।
এর আগেও এরকম অনেক লেখা পাঠিয়েছিলো সে,
পত্রিকা অফিস থেকে ফোনও এসেছিলো ‘ছাপা হয়েছে, দেখুন’ ।


কিন্তু হারানো বিজ্ঞপ্তি’র পাতায় সে কখনোই খুঁজে পায়নি তার লেখা ।