শৈশবে,এই বাঁশঝাড়ের কড়মড় শব্দে
শীতের বিকেল নেমে আসতো।

নরম রোদের সাথে মাঘের হিমশীতল বাতাস।
ধানের বীজতলা থেকে ভেসে আসে,
আধভেজা মাটির গন্ধ।

নারকেল গাছ উঁকি দেয়,
টিনের বাড়ির চালের ওপর থেকে।

উঠোনে রোদে দেয়া জলপাই এর আচার,
সেদ্ধ ধান,কাঁচা হলুদ।

ঢেকিতে পিষে বানানো চালের গুড়ার তৈরি
নুন মরিচের পিঠা।
কিংবা,নারকেল খেঁজুরের গুড়ের তৈরী ভাপা পিঠা।
গোটা শীতের মৌসুম যেন পিঠাপুলির ধুম লেগে যায়।

আমি এখনও চোখ বুজে খুঁজি,
শৈশবের শোনা সেই কবুতরের পাখা ঝাঁপটানোর শব্দ।
বাড়ি বাড়ির রান্নাঘরে ঢেকির আওয়াজ,
কিংবা সন্ধ্যে নেমে আসলে, বাঁশঝাড়ের ঝিঁঝিপোকার শব্দ।

আজ বড্ড হারিয়ে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে,
ফেলে আসা এ জায়গাগুলোতে।

এই বাঁশঝাড়,জঙ্গল,গাছপালা
কচুরিপানায় ভরাট পুকুর আমাকে মনে করিয়ে দেয়,
খুব তো বড় হতে চেয়েছিলি!
বড় হয়ে কেমন লাগছে এখন?