সাপ সাপ” হাঁক-ডাকে
আমি থতমত খাই
ঘরের বিড়াল যেন
আরো বেশী চমকায়
“কই কই” রব তুলে
লোকজন ছূটে যায়
বিড়াল সুযোগ বুঝে
হাড়ি ঠেলে দুধ খায় ।
“সর্পনিধন” শেষে
শবযাত্রার শুরু
বীর পুরুষের দল
হাসি মুখে যাচ্ছে
একটা ন্যাতানো সাপ
শবযাত্রার শব
লাঠির মাথায় দেখি
বেশ দোল্ খাচ্ছে ।
কোন্ জাত, কয় হাত
এই সব খোঁজ নেই
হাড়িটার দুধ শেষ
নজরে তা’ পড়ে না
নজরে পড়ার পর
শেষবার ফণা তোলে
তারপর লাঠি চলে
তারপর নড়ে না ।
সাপ হয়ে জন্মানো
ক্ষমাহীন অপরাধ
অন্যটা হবে তবে
কেন তারে দেখা যায়
“শোনা যায়”, “মনে হয়”
“জানা যায়”-ধরণের
বায়বীয় অপরাধে
বারে বারে সাজা পায় ।
সুখ সুখ ভাব জাগে
পায়ে পায়ে ঘষা লাগে
বিড়ালটা পায়ে পায়ে
ঘষাঘষি করছে
প্রায় শতভাগ সাপ
বর্ণিত অপরাধে
কিছু বুঝবার আগে
অকারণে মরছে ।