যে স্বর্গে চলে যায় তাকে চলে যেতে দিতে হয়,
ধরে রাখতে হয় না,
তুমি যার দেহ এবং অবস্থানকে ইহকালে
ধরে রাখতে পারো নি,
কেনইবা তার অস্তিত্বকে স্থান দাও মনের পৃথিবীতে?!
কেন এই ধরা,এই পৃথিবীর পটে তুমি না থেকে মনের
পৃথিবীতে হারিয়ে যাও,দৃশ্যত অদৃশ্য হয়ে রও?
কি কঠিন!
কি কঠিন সে উপলব্ধি!
কি কঠিন ধারণা!
সবকিছু সবসময়ের জন্য থাকে না,
দেহ নশ্বর,মন অবিনশ্বর,
তাই তুমি দেহকে অতিক্রম করে মনে থাকতে চাও,
মনে অবস্থান নাও,এবং মনে রাখো,মনে রাখতে চাও,
কেন ধরে রাখতে চাও-যে চলে গেছে তাকে?
যে নাই তাকে এবং যে থেকেও নাই তাকেও?
অদ্ভুত অসমীকরণ!
মন বলে কিছুরই শেষ নেই,
তুমি একটি আটপৌরে কক্ষে বসে মহাবিশ্বে
পরিক্রমণ করে ফেল,
বিছানায় শুয়ে নির্ঘুম কাটিয়ে দাও ছায়াপথের কথা
ভেবে ভেবে,অথচ তুমি বিজ্ঞানী নও,
তুমি তোমার চিন্তাধারা লিপিবদ্ধ করো,
কিন্তু তুমি ত লেখকও নও!
তুমি শুধু তোমার অভিজ্ঞতাকে রূপ দাও,
এমন অভিজ্ঞতা হয়ত ভিন্ন ভিন্ন ভাবে সবারই থাকে,
কিন্তু তারা ভুলে যায়,মনের গহীনে প্রবেশ করে না,
তুমি কেন করো?
তুমি কেন দেহের কথা না ভেবে,দেহকে কষ্ট দিয়ে
এবং দেহকে দূরে সরিয়ে,
শুধুই মনের কথা ভাব?
মনের ডাকে সাড়া দাও?!
মনকে পুঁজি করে বিচরণ করো?
মনকে সম্বল করে বেঁচে থাকো,
তোমার ত কিছুই নেই,
এই মন ছাড়া!
তোমার ত কোনো সম্পদও নেই,
এই মন ছাড়া!
তোমার আর কোনো আবাস নেই,
মন ছাড়া,
তোমার আর কোনো স্বজনও নেই,
এই বিচ্ছিন্ন মন ছাড়া!
তোমার কোনো কর্মও নেই,
এই মন বিশ্লেষণ করা ছাড়া!