যে পাখি আকাশে একলা উড়ে,
সেই বহুদুর যেতে পারে,
অনেক পথ বিভ্রান্তিতে,এদিক হতে সেদিকে,
এখান থেকে ওখানে কাটিয়ে দিলেও,
অনেক পথ ঘুরে ঠিকই সে গন্তব্য খুঁজে নেয়,
অন্যেরা যেটা সহযে পেয়ে যায়,
সেটা সে চক্রের মাধ্যমে পায়,
ঘুর্নি তার জীবন,
উড়ন্ত ঘুড়ি,ঘুর্নায়মান গোলা,
ঘুর্নির পাকে দোলায়মান ভ্রষ্ট অথবা শ্রেষ্ঠ পাখি,
নষ্ট উড়াল,নষ্ট জালে আবিষ্ট সুখটান,
অন্যদের পথের শেষ থাকলেও সে মানে না
কোনো পথের সীমা,
এ কথা সে জানে এবং জেনেই সে উড়ে,উড়তেই থাকে,
না হাঁপিয়ে ছুঁটতে থাকে,
ছুঁটতে ছুঁটতে উন্মুক্ত আগ্নেয়গিরির সামনে চলে আসে
অথবা এক বুক তৃষ্ণা নিয়ে সেখানে থেকে যাওয়ার পণ করে,
দগ্ধ হয়েও অনল পোড়াতে পারে নি তার ডানা,
যে উড়া সে জন্ম থেকে শিখেছে তা কি করে সে ভুলে?!
তাই সে উড়তে উড়তে চলে আসে চূড়ায়,একলা,
জোগাড় করে ফেলে দিগন্তের দর্শন,
সব পথ,সব রেখা,সব সীমানা,সব স্থল,সব জল তার
হয়ে গেছে চেনা!
না সে তখন উভচারী,না সরীসৃপ,না মেরুদন্ডী না অমেরুদণ্ডী,
না স্তন্যপায়ী না প্রানী না অপ্রানী,
সে পরিনত হয় এক অবিচ্ছেদ্য সত্তায়,
সমস্ত প্রাণকে যে করে ধারণ,
নাহ,নয় সে ঈশ্বর,
তোমাদের ঈশ্বর বড়ই দুর্বল,
অলীককে,ধোঁয়াকে,ছায়াকে,নিরাকার-সাকার,অদৃশ্য এবং দৃশ্যমান সবকিছুকেই তোমরা ঈশ্বর বলে জানো,
সবকিছুতেই ঈশ্বরের মায়া খুঁজ,
অথচ মায়া কি জিনিস মনুষত্ব বিনা?
পক্ষী তুমি উড়ে যাও,
মানুষ হতে যেও না,
মানুষের দুর্বলতা তার বিশ্বাস,তোমার তা নেই,
তুমি স্বাধীন,
মানুষ পথের সীমানা দিয়ে দিয়েছে,
তার শেষ আছে,
তোমার নেই কোনো সীমানা,
তুমি শুধু ক্লান্তিহীনভাবে উড়ে যাও,
উড়ে দূরে সরে যাও,
চোখের ত্রিসীমা থেকে,
কারন বহুদুর বহুদূর যেখানে আমার দৃষ্টি যায় না
তুমি সেখানে পাখা মেল,
সেখানে বসত গড়ে আমার বসতিতে তার ছায়া ফেল।