নিঃস্বার্থ ভালবাসা


সেদিন দুপুরবেলা,
আমি আর চারু
বসেছিলাম সেই কৃষ্ণচূড়ার নিচে
প্রচন্ড রৌদ্র করে অবহেলা।


দেখেছিলাম দুজন মিলে
ভালবাসার এক সদ্য রূপ,
হঠ্যাৎ একটি পাখি এসে
বসেছিল সাদা একটি গোলাপে পাশে।


ওরা যেন কি বলছিল চুপিচুপি
দেখছিলাম পাখিটা গোলাপকে
কিছু বুঝানোর জন্য,
বার বার হয়ে ওঠছিল বহুরূপী।


কিছুক্ষন পর দেখি
মুখ থুবড়ে পরে গেল
গোলাপের কাছে,
নির্জীব দেহের পাখি।


আমি গিয়ে বললাম গোলাপকে
কি হয়েছিল পাখির,
এমন করে কেন রেখে কায়া
দিয়ে গেল ফাঁকি।


বললো গোলাপ কেঁদে
আমাকে পাখি বাসতভাল
তাইতো আমায় রাঙিয়ে
নিজে চলে গেল।


আমি বললাম কেন?
গোলাপ বলে,,,
আমার রং সাদা
বলেছিল দাদা
যেদিন হব রঙিন আমি,
সেদিন থাকবে না প্রেমের বাঁধা।


এই কথা শুনে পাখি,
রাঙিয়ে দিল আমায়
নিজের বুকের রক্ত ঢেলে
লাল রঙে রাঙিয়ে আমায়
নিজে অবশেষে চলে গেলে।


কি দরকার ছিল আমাকে রাঙানোর
যদি নাই পেলাম তোমাকে,
আগেই তো ছিলাম ভালো
প্রতিদিন এসে বসতে পাশে,
ডাকতে মিষ্টি কত সুরে
আমায় ভালোবেসে।


আজ তুমিই নেই,
কাকে এই রঙিন যৌবন দেই
করে একা, রেখে গেলে স্মৃতি।


আমি ছিলাম নির্বাক,
দেখে পাখির নিঃস্বার্থ ভালোবাসা,
তাজা রক্তে গোলাপ ছিল ভাসা ভাসা।


লেখক:শেখ ফরিদ