প্রতিটা গভীর রাতে, যখন অতলান্ত নিদ্রায় ডুবে গেছি-
বহূদূর আসমান থেকে
ভেসে আসা সুরের মতো বেজে ওঠে এক মহীয়সী কণ্ঠ : ‘জাগো’।
আধো নিমীলিত চোখে ঘুমের জড়তা; আঁধারের ছায়ায়
কেউ কি বসে পড়লো নরম শিথানে?
‘জাগো! জাগবে না?’ সুরেলাকণ্ঠী আবারও বলে ওঠেন।
আমি আড়মোড়া ভেঙে চারপাশ দেখি।
কেউ নেই। খা-খা অন্ধকার।
‘ভুলে গেছো?’ অন্ধকারের গহ্বর ফুঁড়ে সেই স্বর জেগে ওঠে।
‘কে আপনি? বলুন তো কোথা থেকে বলছেন? কে আপনি,
এ নিশুতি দুপুরে?’
মহীয়সী শব্দ করে হাসেন। বলেন, ‘আমাকে চিনলে না?
খুব ভুলোমনা তুমি।’
‘নাহ! কোনোদিন দেখি নি। এ কণ্ঠও বড্ড অচেনা। কে আপনি?’
‘আমাকে তুমি চেনো। দূরবর্তিনী, অথচ আমিই তোমার ছায়া।’
‘আজগুবি কথা রাখুন। আপনি কেউ নন। স্বপ্ন। একটা
স্বপ্নের ভেতর প্রতিদিন আমাকে ত্যক্ত করছেন আপনি।’
‘হাহাহা। স্বপ্ন নই, আমিই ধ্রুব।’
‘আপনি যান। বিরক্ত হচ্ছি খুব। ঘুমোতে দিন।’
‘আচ্ছা যাই। ঘুমোও। গোধূলির হাওয়ায় আঁচল উড়িয়ে প্রতিদিন
তোমাকে দেখি- আমাকে ভুলো না প্রিয়; দিনের একভাগে
একবার হলেও আমার কথাটি ভেবো। আমি সোনালি।
তোমার অলঙ্ঘ্য প্রেমিকা। আমি মৃত্যু।’


৩১ আগস্ট ২০১৫