অদ্য এক জনপদের গাল্পিক হলেম।
আর বছরের সেথাকার অসংখ্য ব্যর্ঘগর্জন
বিলুপ্ত কিংবা হ্রস্ব হয়েছে।
গর্জনে অর্জন ছিল।
শৃগাল অন্যের লেজকাটার ফিকিরে যেতো না।
চরিতার্থের মনোবাসনার তরীখানি
ডুবিয়ে লুকিয়ে রাখতো হাঁটু অব্দি জলে।
ওরে বাবা!
সতত সততার গর্জন!
ভয় হয়! তাই ভয় হয়!
নিকটকালের সিংহদের কেশরনাচ আর সাধুতার হুংকার
থেমে গেলো কিংবা স্থগিত হলো।
অংকটাও কমলো কি?
কোন হেতুতে জন্মনিয়ন্ত্রণ?
রাজা কনডমের প্রয়োগ?
হুংকারে ঝঙ্কারে খেপা কুকুরের
ঘেউ ঘেউয়ের দৌড় ছিল আলা-জিহ্বার সীমান্ত ইস্তক।
বিষ্ঠা কিংবা হাড় চাটা ছাড়া-
রন্ধনশালায় উঁকিঝুকির দুঃসাহস ছিল দমিত।
এই তো সেদিনের কথা-
বিশাল-ঘেরের দেহ-মালিক শাদা মাতঙ্গের বৃংহতি শব্দে-
বানরদের আত্মারাম পিঁজর ছেড়ে যেতো প্রায়।
বাদরামি ইতরামি বাদরেরই স্বভাবজাত।
নিত্যদিন নিয়মমাফিক তিন কিস্তি ন্যায়ের দন্ড
পাছায় প্রয়োগ না হলে সে মাথায় চড়ে।
বৃংহতি ছিল মহৌষধ।
বাঘ-হাতি-সিংহের খাটত্বে শেয়াল-কুকুর-বানরের বাড় বাড়ে।
বাঘ-হাতি-সিংহ বনাম শেয়াল-কুকুর-বানর।
ফলাফল সামনের বছর।
৪/৬/২০১৯