বুকের ভিতর তীব্র দহন
আজীবন সইতে হবে এ পীড়ন,
পালা পার্বণ, ঈদ এলে
বাবার স্মৃতিতে চোখ ভিজে.
নতুন রেসিপি, নতুন স্বাদ
আস্বাদ করাতে তোমায় জাগে অভিলাষ  
নতুন জামা, নতুন সাজ
আরশিতে দেখে মেটেনাতো সাধ
বুকেতে হানে নির্মম কশাঘাত
কে ঝরাবে স্নেহের বারিপাত?
নতুন সাফল্য, নতুন অর্জন,
কেরাত করে তিলাওয়াত শিক্ষণ
শোনাতে তোমায় করি উচ্চারন
সে সব প্রয়াস সব গেল বিসর্জন।
নতুন কবিতা, নতুন পঙতি
নতুন নতুন অভিব্যক্তি,
সবই অপূর্ণ, ভীষণ কমতি।
প্রাঙ্গনে ঐ সবুজ শাখে
হলদে পাখিটি এসে বসে
অলস দুপুরে তার গলাটি সাধে,
দোয়েল, টিয়া মনের সুখে
কিচিরমিচির কলরব করে,
নতুন ছন্দে, নতুন সুরে,
তবুও এ মন হাহাকার করে
মা জননী ডাকটি আবার শোনার তরে।
নতুন চারা, বাগানের ফুল
গোলাপ, গাঁদা, সাদা বকুল
আঙিনার ঐ ঝরা মুকুল
গন্ধে গৃহের হাওয়া আকুল
সবই নির্মল, প্রাণটি ব্যকুল
তবুও কোথায় হারালো সুর
নাগালের বাইরে সেই সমুদ্দুর।