গ্রীষ্ম আসে খর তাপে
তীব্র রোদে শুদ্ধতা আনে
জীর্ণ শীর্ণ রুগ্ন প্রাণে,
কাল বোশেখির ভয়াল রূপে
পাপীর প্রাণে কাঁপন  জাগে।
ব্জ্র বাণে, বাদল বায়ে
বর্ষা আসে শুষ্ক মাঠে,
তৃষিত ভুবন তৃপ্ত করে,
নব যৌবনে, বিপুল ঢেউয়ে
মরা গাঙেতে জোয়ার জাগে
মেঘ সলিলের স্পর্শ পেয়ে
নতুন কিশলয় উঠে জেগে,
রিমঝিম রিমঝিম বাদল গানে
নতুন  তালে, নতুন  রাগে
কবির প্রাণে ছন্দ আনে
সজীব ধারায় সিনান শেষে
নির্মল আকাশে শরত ভাসে
শুভ্র শিউলীর অপূর্ব রূপে
স্নিগ্ধতা জাগে সমস্ত প্রাণে,
মলয় বায়ু হিল্লোল তুলে
কাশবনেতে সফেদ ঢেউয়ে।
ধীরে ধীরে হিমেল বায়ে
হেমন্তকাল তার রূপ প্রকাশে
কুয়াশা চাদর বুনন শেষে
ঢেকে দেয় সে পল্লী মাকে
শহুরে মেলায়, শহুরে প্রাণে
ধরা দেয় সে ক্ষণিকের তরে
হেমন্তিকার বিছানো পথে
শীতের বুড়ি ধরায় আসে,
পিঠা পুলি তার আঁচলে ভরে
শীতের কালে মিঠে রোদে,
কুসুম স্বপ্নে হৃদয় জাগে
বসন্ত কালে সেই  স্বপনে
রঙিন ফুলে সব কানন হাসে।
ঋতুর মেলা বছর জুড়ে
ভাবনা মোদের যায় যে ছুঁয়ে
উদ্বেল হিয়া তাই মেতেছে
ঋতু চক্রের বর্ণনা তে,
ভাবনা গুলো সব পুরনো
তবুও কতো মনমাতানো।