তার কণ্ঠনালীতে আশ্রয় বেঁধেছে এক বিষাক্ত ভাইরাস;
তীব্র ব্যথায় কুঁকড়ে যাচ্ছে পলিমাটির মতো নরম শরীর,
আষাঢ়ের ধারার মতো অবিরাম ধ্বনিতে কম্পমান বিষন্ন কণ্ঠনালী!
দুইদিন..তিনদিন..চারদিন কেঁটে গেছে-
পরজীবী পোকা আঁকড়ে ধরেছে তার অনুগ্র ফুসফুস,
মৃত্তিকা দেহে জমেছে যেন দুপুর রোদ্দুরের ভীষণ উত্তাপ,
মগজটাকে ঠুঁকরে খাচ্ছে এক অজানা অনুজীব!
পাঁচদিন..ছয়দিন..সাতদিন শেষে-
তাকে নিয়ে আসা হলো কোয়ারান্টাইন ক্যাম্পে;
নির্জীব কক্ষের অন্ধকার কোণে করে রাখা হলো বন্দী,
না-আলো, না-বাতাস কোনোকিছুই তার স্পর্শ পেলোনা,
তাকে খেতে দেওয়া হলো দু'মুঠো শক্ত খাবার,
অথচ তার কণ্ঠনালীতে আশ্রয় বেঁধেছে এক বিষাক্ত ভাইরাস!
আটদিন..নয়দিন..দশদিন কেঁটে গেলো-
ধুঁকে ধুঁকে সে হয়ে গেছে যেনো একটুকরো বিষাদ,
চোখের নিচে কলঙ্ক রেখা ছেপে- কপালে পড়েছে গাঢ় ভাঁজ,
তার ফুসফুস আর সক্রিয় নেই- সে প্রশ্বাস নিতে পারছে না,
কিছুটা বিশুদ্ধ বাতাস চাই- আর্তচিৎকারের ধ্বনি বদ্ধ দেয়ালে আঘাত হেনে তারই কাছে আসে পুনরায়,
সে বুঝি জীবনের শেষ পথে, মৃত্যুর প্রয়োজনে-
অন্তহীন প্রহরটুকু শুধু গুনে যায়!
তেরোদিন পার হয়ে গেছে-
তার নরম দেহখানি পড়ে আছে অসাড় হয়ে,
স্বীকৃতি নেই, কেউ জানেনা সে আছে কিনা বেঁচে;
মাথা পেতে মেনে নিয়েছে সে তার নিয়তির লেখা,
সে মরে গেছে যেন বিষন্ন চড়ুইয়ের মতো একা।
কেউ নেই তার, কোথা নেই কিছু আর-
তাকে নিঃশেষ করে দিলো এক পরজীবী পোকা!