নীলু! তুমি মেহেদি পরোনি আজ?
বলো কোন অপরাধে মেহেদি পাতাকে এই নিদারুণ সাজা দিলে?
মেহেদি পাতা তো ঠিক তোমার মতোই;
বাহিরে সতেজ-সবুজ, কতো প্রাণোবন্ত, কতো উচ্ছ্বসিত,
তবু ভেতরটা কাঁটা সুপারির মতো তীব্র লাল।
দেখে মনে হয় বুঝি শত ক্ষত-বিক্ষত রক্তের দাগ জমে আছে তার নরম বুকের গহীনে!
তবু তুমি মেহেদি পরোনি আজ!
জীবন্ত উপমার মতো দুধরাঙা হাতখানা তোমার,
যে হাতের সচেতন স্পর্শে জলাধার শুদ্ধতা খুঁজে পায়,
যে হাতের আলতো ছোঁয়ায় পাথুরে দেহ ভেঙ্গেচুরে চুরমার হয়ে যায়,
সে হাতের কোমল মাটিতে মৃত্যু হয়নি মেহেদি পাতার,
আমি তবে বলি ব্যর্থ জন্ম তার, ব্যর্থ জন্ম তার!
নীলু! বিষাদ জমেছে বুকে?
শিশিরস্নাত ভোরে ঝরা শিউলীর মতো তীব্র বিষাদ,
জোছনা রাতের শেষে চন্দ্র বিদায়ের মতো প্রবল বিষাদ,
অথবা বাতুল কবি'র ষোড়শী প্রেমিকাকে না ছুঁতে পারার অজ্ঞাত বিষাদ,
ভীষণ বিষাদে দেহের ভেতরে শালিকের নো'খের মতো টকটকে লাল হয়ে গেছো তুমি,
তাই বুঝি মেহেদি পাতার বদলে সেই বিষাদের বিষটুকু বুকে টেনে নিলে!
নীলু! তুমি মেহেদি পরোনি আজ?
বলো কোন অপরাধে মেহেদি পাতাকে এই নিদারুণ সাজা দিলে?