রাত ফুরোতেই চাঁদখানা যেন নিস্তেজ হয়ে যায়,
অথচ তাহার পুরোটুকু জুড়ে ভরা যৌবন ছিলো-
মুখশ্রীতে ম্রিয়মাণ ছিলো প্রিয় ধবলিমা হাসি;
ক্ষিপ্র হরিণীর মতো প্রবল ছিলো তাহার তেজ,
ঠিক সাঁঝবেলা শুরু করে পুরোটা রাত্রি ভরে-
ছড়াতো সে জমে থাকা জোছনার আলো!
প্রভাত এলেই চাঁদ নিজেকে লুকোয়,
কলঙ্ক দোষটুকু ঢেকে রাখে- বিশ্বাসী ভানু ভাস্করে,
লজ্জায় মুখখানি না করে বাহির,
বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে শরীর,
করুণ বিষন্ন চোখে, অসহায় চাঁদখানা-
প্রৌঢ়া নারীর মতো ধুঁকে ধুঁকে মরে।
সগর্ব ধবলিমা হাসিটুকু সে কভু খুঁজে নাহি পায়;
অথচ তাহার পুরোটুকু জুড়ে ভরা যৌবন ছিলো,
তবু রাত পোহাতেই যৌবনা নারী যেন-
নিস্তেজ হয়ে যায়!