সুকেশিনী, পদ্মলোচনা, হরিণীর মতো চঞ্চল,
একমুঠো হাসি ওষ্ঠ কিনারে, চাহনিতে জলে দাবানল,
চিবুক বেয়ে উচ্ছ্বাস ঝরে, সরু তনু বেয়ে আলো-
উন্মুক্ত কেশ উদর ছুঁয়েছে, সেথা এক তিল কালো;
সুবিন্যাসে দন্তেরা সেজে, ধৃষ্টে গোলাপী আভা,
দমকা হাওয়ায় দুলছে ভীষণ- বৃতিতে কম্পসভা!
ভ্রু-যুগল বেঁকে তীর-ধনু এঁকে সরু নাসিকায় ক্ষ্যান্ত,
কপাল জুড়ে বিস্ময় রেখা, কর্ণ লতিকা ক্লান্ত;
সুগঠিত কায়া, যৌবন বেশ, উপচে পড়েছে বুক,
কটিদেশে যেন মোহ বেঁধে রাখা, নিতম্বে বাঁধা সুখ,
ধরণী দেহ, মোলায়েম স্বর- ক'জনই বা রমণী হয়?
রমণী সে তো শবনম সম, পৌরুষে যাতনাময়।