একদিন আত্মহত্যা করতে বের হবো। বাড়ির পাশের শিমুল গাছের দিকে তাকাবো, লাল ফুলে নিজের রক্তাক্ত মুখ কল্পনা করে সামনে আগাবো। উদ্যানের বেলি ফুলের গাছে সেদিন প্রতিদিনের চেয়ে একটু বেশিই ফুল ফুটে থাকবে। আমি মনে করার চেষ্টা করবো, এই ফুল একসময় আমার সব থেকে পছন্দের ছিলো। তোমার হাতে চন্দ্রমল্লিকার মালা জড়ানোর সময় আমার হাত যেভাবে কাঁপছিলো, একইভাবে আমার সমস্ত শরীর কাঁপবে। আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে শেষবারের মত আকাশকে দেখে নিবো, চিল উড়ছে, কাক উড়ে যাচ্ছে, তুমি উড়ে যাচ্ছো। অন্যদিনের চেয়ে সেদিন আকাশ একটু বেশিই নীল, অথচ আমি কল্পনা করে রেখেছিলাম আমার মৃত্যু হবে ঝুম বৃষ্টির রাতে, যেদিন বাতাসের সাথে পানির ছিটেফোঁটা আমার নরম গালকে আরো শীতল করে দেবে।

আমি হঠাৎ করেই আমার মত বদলাবো। আমি জগতকে নতুন করে দেখতে চাইবো। সুকান্তকে চিঠি লিখার কথা ভাববো, তোমার কাছে চিঠি লিখবো। শেষবারের মত বেঁচে থাকার সাধ জাগবে। আকুতি করবো, মিনতি করবো। নিজের কাছে প্রশ্ন করবো- জগতের সব লোকের কি পাখি হয়ে উড়ে যেতেই হবে? সব পাখি তো উড়তে পারে না। তোমার জবাব শুনবো, হাসবো, আশ্বস্ত হবো।


আমি আত্মহত্যা করতে বের হবো ঠিকই কিন্তু আমি সেদিন সামনে আগাবোনা। বাড়ির পাশের শিমুল গাছে তাকিয়ে থাকবো, আকাশ দেখবো, তোমার মুখ দেখতে পাবো। তোমার মুখে আটকে যাবো।


“তোমার মুখে আটকে যাবো”
২ মার্চ, ২০২২
মালিবাগ চৌধুরীপাড়া, ঢাকা