আগামাসি লেনের শেষ প্রান্তের বাড়িটা
চুন-সুড়কি খুলে পড়ার উপক্রম
তবুও যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে।
বিবর্ণ সেই বাড়িটাতে আমি যেতুম;
যেতুম কবি ব্যাগটাকে কাঁধে নিয়ে
থাকত পকেটে একটি লাল গোলাপ,
আর একটি কলম।
হুইল চেয়ারে বসা একটি মেয়ে
থাকত বাড়িতে, নির্জনে শুধু একা।
অদ্ভুত তার চোখের চাহনি
অসাধারণ তার ব্যক্তিত্ব
অনন্য তার আবৃত্তির ঢং ;
অনিমেষ চেয়ে রইতাম তাকে লক্ষ্য করে
স্বরচিত কবিতা পাঠের সময়,
চোখের পলক ফেলার কথা ভুলেই যেতাম।
শহিদ মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে, জন্ম ১৯৭২ সাল
অনেক সভা-সেমিনার হয়,
শহিদ মুক্তিযোদ্ধা -প্রতিবন্ধিদের নিয়ে।
একজন মননশীল মানুষও কি নেই?
মেয়েটিকে জীবন সঙ্গী করার;
তাকে ভালবাসার
তার চোখে চোখ রেখে সমস্ত দুঃখ ভুলিয়ে দেবার!
আগামাসি লেনের সেই বাড়িতে আমি যেতুম;
যেতুম বিবেকের দংশন থেকে
মেয়েটির চোখে চোখ রাখতে
তার সাথে সুখ -দুঃখ ভাগ করে নিতে।
আমি তার কবিতার বড় ভক্ত ছিলাম,
সর্বশেষ শুনলাম;
সেই মেয়েটিকে বাড়ি থেকে উত্খাতের
ষড়যন্ত্র করছে, কোনো এক নব্য রাজাকার।



১৩ অগ্রহায়ণ, ১৪১৫ বঙ্গাব্দ
৪১৭, সোহরাওয়ার্দী হল, রাজশাহী ইউনিভার্সিটি থেকে