গুলবাহার
(পুঁথি পাঠ)
ফাত্তাহ তানভীর রানা


শোন শোন শোন বন্ধু শোন দিয়া মন
গুলবাহার সুন্দরীর কথা আজি করিব বর্ণন।
চন্দ্রপুরের মেয়ে হল গুলবাহার সুন্দরী
গুণের কথা সবার জানা, রূপ দেখে মরি মরি!
এক বাপের গুলবাহার মেয়ে একখানা
গুলবাহারের বাবা গরিব এটা সবার জানা।
আরে, গুলবাহারের বয়স যখন বার কি তের
বিয়ের সম্বন্ধ আসিল তাহার খানা সতের।
মেয়ের বাবা গরিব।
ওরে সই, মন নিয়ে কই রই; কহিল গুলবাহারে
মনটা তাহার রহিল মনেরো ভেতরে;
কহি গুলবাহারের কথা।
আরে, গুলবাহার হইল হরিণী চপলা
কিশোরী বয়সে সে বুঝিত না ছলা-কলা।
দিনে দিনে গুলবাহার বড় হইতেছিল
তাহার বাবার ঋণের বোঝা ভারী হইয়াছিল।
মহাজনের নজর গেল গুলবাহারের প্রতি
চন্দ্রপুরের মেয়ে সে, ছিল সুন্দরী অতি।
মহাজনের প্রস্তাব গেল গুলবাহারের বাবার কাছে
তাহার বাবা কহিয়া দিল জানাইবে পাছে।
হায় হায় কি হইতে কি হইয়া যাবে
এই কথা এখন গুলবাহার সুন্দরী বসিয়া বসিয়া ভাবে;
তোমরা সবাই শোন।
মা মরা মেয়ে হইল গুলবাহার সুন্দরী
ঋণের বোঝা মাথায় লইয়া তাহার বাপে মরি মরি!
একদিন গুলবাহার গৃহত্যাগী হইল
তাহার বাবা বাঁইচ্যা না এ কথা বুঝিল!
কহি গুলবাহারের কথা;
হায় হায়, গুলবাহার সুন্দরী যাবে কোথায়
কে দিবে তাহারে একটুখানি ঠাঁই।


চলছে চলবে----