বর্ষার প্রথম পহরে তুমি এলে প্রিয় মোর।
কেন আবার ঝড় আনিলে দু'চোখে আমার।
আমি অনেক দিন প্রহার করেছি রাত,
যে রাতে মোর ঝরেছে আঁখি বার।
আমি চল চল চোখে স্মৃতি গুলো দেখিতে পায়।
ভাললাগে না তাই জল ফেলে যায়।
তুমি এক চোখের কানন দেখে বিমূখ হতে।
আজ দু'চোখের কানন চলে আমার বুকে।


জলহস্থীর মতো কি সারাটা জীবন
ঢুবে রব নয়ন জলে।
তুমি একটু জল ফেল
আমার কথা তুলে।
এখন এমন সময় সব প্রাণী ঘুমন্ত,
কিন্তু আমার জলে ভেজা নয়ন
তোমাকে বউ কথায় কয়।
কথার সুর তুমি শুনছো,
যদি সহায় না পাও মিথ্যের।
হাতের কাছে এসে যখন আদর দিতাম,
তখন কি বলতে সেটা ভূলবে না জানি।
তারপর ও বলছি কান পেতে নাও,
জমজ পূর্ণতা দিবে না?
এতএব,দু'হাতে মোড়ায়া বলি যাহা চাহিবে তথা দিতে বাধ্য থাকিব আমি।
আজ বৃষ্টি বলে এত কিছু বলেছি।
আমি চায় না প্রিয়া প্রতিদিন বৃষ্টি হোক,
যেহেতু তোমাকে চিরতরে আসতে হবে।


ও লক্ষী জন্ম যদি আজো একবার পায়,
বর্ষাস্নত রাতে তোমাকে নিয়ে বঙ্গ পাঁড়ি দিব।
বঙ্গ আজো তোমার জন্য আমার সাথে কথা বলে না,
আমি একা বলে।
প্রিয় মোর আজ একটু দৃষ্টি নাও,
জল যেন না ঝরে চোখে।
আমি ফেলবো না বারি কথা দিলাম,
বর্ষা যদি হাতে চুয়ে দাও আমার দৃষ্টি মূখে।