ফিরছিলাম বাড়ী
অফিসের মেলা কাজ সেরে
কাজের চাপে পাই নি শুনতে
তপ্ত শহর ভিজিয়ে দেয়া
বৃষ্টির টপটপ শব্দ
বেড়িয়ে দেখি সামনের ড্রেন আটকে
এক হাঁটু জল।
কি করি
অনেক ভেবে চিন্তে প্যান্ট গুটিয়ে
সদ্য কেনা জুতা জোড়া পলিথিনের ব্যাগে ভরে
ছপ ছপ শব্দ করে ফিরছি বাড়ী।
রাস্তা ফাঁকা
দু চারটা রিক্সা চলছে
এ সময় রিক্সা নসিব আমার কম ই হয়
তাই বৃথা চেষ্টা না করে
এই হাঁটা
মেঘ ডাকছে প্রচন্ড
চায়ের দোকানে কিছু লোকের ভীর
শহরটা যেন ভুতুড়ে
চিকন আকাঁবাঁকা সড়ক টি ভিজে
সাপের মত পিছলে আছে।
হাঁটতে হাঁটতে ঋষি পাড়া
পাড় হয়ে
বিনোদপাল সড়কে ঢুকছি
মোড়ে পার্টির ক্লাব ঘর
বাতি জ্বলছে।
সড়কটা ক্লাব ঘর ঘেঁষে ই গেছে
সামনে একটা ছোট ব্রিজ
তার উপড় গোটা কয়েক উঠতি ছেলে বসে
বিড়ী ফুঁকছে
খুব কাছে আসতে ই
ভিতর থেকে একটা ধ্বস্তাধস্তির শব্দ পেলাম
মনের ভুল বলে যেই পা বাড়িয়েছি
অমনি সময়
একটা লাল জামা উড়ে এসে পড়ল
সামনে
ভয় পেয়ে পিছিয়ে গেলাম
এদিক সেদিক তাকিয়ে কাউকে খোঁজার চেষ্টা
কে ফেলল?
একটা চিতকার
হে!  একটা নারী চিতকার শোনা গেল
" আল্লাহ গো  তুমি কই
  তোদের পায়ে পড়ি ছেড়ে দে "
আমি বোবা পাথর মুর্তি
পিছন থেকে কয়েকজন এসে বলল,
কি? কিছু দেখেছেন? শুনেছেন?
গলা দিয়ে অস্পষ্ট শব্দ বেরুলো
একজন বলল,
ক্ষমতায় আমরা
মজা করব, ফুর্তি করব
সব হালাল
যান, বাড়ী যান
সুন্দরী বউ অপেক্ষা করছে
হায়েনার উল্লসিত শব্দে
মিলিয়ে গেল
" আল্লাহ গো তুমি কই?  "


                            


২৬ ডিসেম্বর ১৬। রাত ১১:০৮ মিনিট।