বয়স চার পাঁচ সেই শৈশবে
অ আ ক খ পড়া জোরে জোরে
বাবা বলতেন , পড় ভালো করে
ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতেই হবে ।


আমিও পড়তাম আরো জোরে জোরে
নিশ্চিত হয়ে যাবো অনেক বড় কিছু
বাড়ি গাড়ি ঘুরবে আমার পিছু
এমন স্বপ্ন চোখে জেগে উঠা ভোরে ।


হাঁড়িতে থাকেনি খুব বেশি ভাত
ক্ষুধাটাও ঐ বয়সে জ্বালাতো খুব
তারপরেও অনেকটা থেকে যেতাম চুপ
গরিব হওয়াটাই শুধু বড় অপরাধ ।


পড়ার টেবিলে মাথা যেতো ঘুরে
অপুষ্টির মাথাতে কতো আর ধরে
তারপরও নামতা গোণা জোরে জোরে
সোনা রোদ ভরা এক জীবন দূরে ।


এভাবেই গোটা তিন ডিগ্রি ধরে
অপুষ্ট শরীরটা বাড়ে ধীরে ধীরে
আমিও হারিয়ে যাই মানুষের ভিড়ে
বাবার স্বপ্নগুলো অপঘাতে মরে ।


বেকারের খাতাতে লেখা হয় নাম
চাকুরি খুঁজে খুঁজে আধমরা প্রায়
নিজেকে মনে হয় বড় অসহায়
কপালে জমা হয় সিন্ধুসম ঘাম ।


সামনের পৃথিবীটা বড় অচেনা
অনিশ্চিত অন্ধকারে আমাদের বাস
দূরের নক্ষত্রগুলো করে পরিহাস
ভালোবাসা নেই কোথাও আছে শুধু ঘৃণা ।