ছেলেটি বন্ধুটি অথবা প্রেমিকটি ছিলো পাশে
কী এমন কথা তুমি শুনেছিলে যে
রাগে দুঃখে জীবনটাই অর্থহীন হয়ে আসে
আর ছাদ থেকে সব ভুলে ঝাপ দিয়েছিলে ।
কী এমন বয়স তোমার কী দেখেছো তুমি
ভালোবেসেছিলে হয়তো বাঁধোনিতো ঘর
সুখ দুঃখ হাসি কান্নার হিসাব চুমি
মানুষ কাটায় তার পার্থিব প্রহর ।
দেখেছো কি গ্রীষ্মের পুড়ে যাওয়া মাঠে
কৃষকের দিন কাটে লাঙ্গলের শিসে
তিক্ত মেজাজ যখন সূর্য নামে পাটে
ঘরে ফিরলে রুক্ষতা বুকে থাকে মিশে ।
কৃষাণির রান্নায় হয়ে গেলে ত্রুটি
কৃষকের মেজাজটা যদি যায় চটে
ভালোবাসা ভুলে তখন তিক্ত ভ্রুকুটি
কত কী প্রলয়ংকরি লংকা কান্ড ঘটে ।
দেখেছো কি যন্ত্রনার সতীনের ঘর
আবেগের দিনগুলো পুড়ে হয় ছাই
শত্রুর মতো একটি মানুষও আপন এরপর
ছোট্ট শিশুর চোখে তার মায়া খুঁজে পাই ।
কি ধনী কি গরিব কতো যে অভাব
খুনসুটি ভালোবাসায় মানুষ বেঁচে থাকে
যে বন্য সেই শান্ত মেঘের স্বভাব
নিজের ক্যানভাসে সে কতো ছবি আঁকে ।
তোমার মরণে শুধুই তোমার বিনাশ
তুমি নাই তবুও চাঁদ ঠিকই উঠবে
গাছের ডালে ডালে ভোরের বাতাস
পাখির গলায় গান বনে ফুল ফুটবে ।
সে ছেলেটাও আজীবন যন্ত্রনায় লড়বে
দূরের আকাশে তার স্মৃতিগুলো খুঁজবে
জনসমুদ্র মাঝে শূণ্যতা গড়বে
আর ভিজে যাওয়া চোখ দুটি আড়ালেতে মুছবে ।
আজ তোমার বাবা মা অঝোরে কাঁদছে
ফেলে যাওয়া পৃথিবীটা আজ যদি দেখতে
তোমার মানুষগুলো শোকমালা গাঁথছে
ভালোবাসার নদীটি ঢেউ গুণে শিখতে ।
০৯/০৩/২০১৩