রংহীন বৃষ্টির পানির মতো ভাবনাহীন ছিলো এ মন
আগুনের শিখা দেখে ভাবনার শুরু
কেন পুড়ে যায় ঘরের পর ঘর
আর আগুন পেয়েছে কোথায় অপার শক্তি যে সব নিমেষে করে দেয় ছারখার ।
দিনের সাহস কেন রাত বাড়তে বাড়তে হারিয়ে যায়
ভুত পেত পিশাচদের বিচরণ অনুর্বর কল্পনায়
অনেক ভুলের ছাঁয়ার সাথে আলিঙ্গন হয় মানুষের
পেঁয়াজের খোসা খুলে খুলে দেখে
কৌতুহলের শেষ প্রান্তে আছে শুণ্যতা ।
বন্য হুংকারে গর্জে ওঠা বাঘাত্নারা যখন ভর করে মানুষের ভিতর
ছিন্ন ভিন্ন করে খায় মায়াবি হরিণির দেহ
লুণ্ঠিত হয়ে যায় বহুকষ্টে জমানো জীবনের উপকরণ
দূর থেকে আওয়াজ শুনে দুশ্চিন্তায় নির্ঘুম হয়
রুপালি জোছনা মাখা নরম রাত ।
নিজের ভিতরেও ঘুমিয়ে থাকা অমানবিক ভাবনা
বৈধতার যুক্তি খুঁজে ক্লান্ত হয় নিশ্চুপ প্রহরে
নিজেকে নিজে বহুবার তাড়া করে
জ্বলে পুড়ে ছাই হয় বারবার ।
সেই যে কত যুগ পূর্ব থেকে ছুটে চলা চিন্তার অস্থির জগত্‍
শেষ ঘন্টা যখনই বাজুক
এক পশলা ঘুমের মতো আপাততো ছোট্ট ছোট্ট ছুটি চাই ।