দুই চোখে বিষন্নতা নিয়ে ঘুরি ফিরি
নীল আকাশটা কবে কবে তামাটে হয়ে গেছে
ভিতরে লাভা জমে জমে হয়ে গেছি আত্নঘাতি আগ্নেয়গিরি
বাইরের ফুরফুরে বাতাসটাও ক্ষয়ে ক্ষয়ে কালো ধোঁয়ায় মিশেছে ।
দূর আকাশের কোথাও বা এক ঝাঁক শকুণ
অপেক্ষার প্রহর গোণে কখন গবাদি পশুর মৃত্যু ঘটে যায়
আর মাঝ প্রহরে এসে সকালের কোমল অরুণ
ঝাঁঝ মাখা পথ ঘাট তুলেছে তাওয়ায় ।
দূর থেকে বহু দূরে চোখ মেলে থাকি
কালচে দিগন্তে থাকা সারি সারি ছোট গাছ
মাঝখানে কোলাহল সে কি দাঁড় কাক নাকি তেমন অনেক পাখি
দৃষ্টি বিভ্রম হয়ে যায় বড় বেশি আজ ।
সেই যে ভাবনাগুলো যা রেখেছিলাম ছোট্ট বেলার স্কুলের রাফ খাতায়
সে খাতাগুলোও সের ধরে বেঁচেছিলাম আমি
বহু বছর পর খুঁজতে খুঁজতে দেখি তারা নেই আর স্মৃতির পাতায়
আর অনাগত ভবিষ্যতটা হয়ে গেছে বেদামি ।
সেই যে কতো শত ভালোবাসা কাঁধে রাখা হাত
কোথাকার কোন ঝড় নিয়ে গেছে তুলে
কার সাথে কবে কোথায় বাদ প্রতিবাদ
চোখের জলগুলোও আঁকা গেছি ভুলে ।
ছিলোতো অনেক কিছুই আকাশ নদী ফুল পাখি মেঘ
এখন সব কিছুই বড় অচেনা
নিজেকেই এঁকে দেখি মানুষ আরেক
মাঝরাতে সে আর কোন অবাস্তব অসম্ভব সুন্দর স্বপ্ন রচেনা ।