কপালে ভাজের পর ভাজ
রোদে পুড়ে যাওয়া তামাটে শরীর
অসহায় ছলছলে চোখ
চোখের টলমল জলে দুঃখ কষ্ট ছাড়া
নাই বলে কিছু নাই
এক বৃদ্ধের কল কব্জা অচল
সঞ্চয় কেবল কিছু দীর্ঘশ্বাস ।
সময়ের পর সময় চলে যায়
দীর্ঘশ্বাস নিয়ে কেবল দীর্ঘশ্বাস দেখে যায় ।
বংশ পরস্পর এক ফালি জমি
ফালি হতে হতে কেবল এক ঘুপচি ঘর
পা ফেলার মতো এক কদম উঠোন নাই ।
ভাতের অভাব কাপড়ের অভাব
অষুধের অভাব ভালোবাসার অভাব
কোন অভাবের কমতি নাই
দেখতে পারার মতো দুটো চোখও
বুঝতে পারেনা তার দৃষ্টিশক্তির অভাব
আর নিজের অবস্থানটুকু কোনদিন করতে পারেনি বিশ্লেষণ ।
এক ঘর দুই ঘর তিন ঘর অগণিত ঘর
আঁকা ছবির পুরোটাই সন্ধ্যার কালচে রংয়ে আঁকা
এক ডাল পালা মরে যাওয়া শুকনো  জংলা গাছ ।
ঘুমিয়ে পড়া জোড়া জোড়া চোখের
স্বপ্নের বাগানে অলিক ফুলগুলো
বন্দুকের তর্জনে গর্জনে ঝরে যায় ।
মুক্তি সেতো বর্বরের খাঁচায় বন্দি
কেউটের ফনায় আনন্দ উল্লাস ।


১১/১১/১৩ কালিহাতি , টাংগাইল ।