পাঁকা পথের মাঝ পথে যেখানে বাসগুলো যাত্রি নামায়
সেখান থেকে বাড়ি বেশ দূর
পথের দুই পাশে হাজার পেশার মানুষ
যে যার মতো ছুটছে রোজগারের আশায় ।
মাথায় ভারী বোঝা নিয়ে দিন মজুর
খাবারের দোকানে চুলায় গণগণে অগ্নি তুষ
রুটি রোজগারে রোজ দিন কেটে যায় ।
এরা তবু বেঁচে থাকে জীবন চুলায়
যাদের জোটেনা কাজ এ বিশৃঙ্খল রাস্তায়
তাদের জীবন পুড়ে ছাই হতাশায় ।  বাড়িতে জ্বলেনা ভাতের হাড়ি
অশ্রাব্য গালি গালাজ আপন জনদের মাঝে খুনসুটি
স্বজনের আহাজারি বাতাস ভারি
যুবক ছেলেটা মাদকাসক্ত হয়ে কাগজে কলমে মৃত হয়ে যায় ।
সন্তান হয়নি মানুষ রূগ্ন বুড়ো বাপ
দুমুঠো ভাতের জন্য রিক্সা ভ্যান টানে
বাতাসের কান্নায় কেবল মিশে কিছু নিস্ফল বিলাপ ।
হাত নেই পা নেই নেই চোখে দৃষ্টি
দোরে দোরে হাত পাতে কিছু ভিখিরি
টলমলে সেসব চোখে দারিদ্রের অভিশাপ
বড় বৈচিত্রময় এ পথ ন্যায় অন্যায়ে  আপেক্ষিক সৃষ্টি অনাসৃষ্টি ।
মানুষ যখন তুমি এর সবকিছু দু'চোখ মেলে দেখার আছে
চোখের সামনের রঙিন চশমা খুলে দেখো
নিরন্ন অসহায় ভুমিহীন মানুষগুলো কী করে বাঁচে ।