ঘাসের ডগায় বাতাসের চন্দ্রতরী
ভেসে ছোটা শিমুল তূলা অথবা একদল ফড়িং
খুব কাছাকাছি আকাশ নেমেছে
আরেকটু বড় হলেই মেঘ ছুঁতে যাব।
সামনে দূর যা ছিলো তাই
দলবেঁধে গোল্লাছুট সাঁঝে ফেরা
হঠাৎ বুঝে যাই বদলানো নিজের গলার স্বর
আর চোখ দুটো খোঁজে পাতায় পাতায়
শ্রাবনের নতুন জলে গড়া আরেক জোড়া
হরিণের মায়াকারা চোখ।
তারপর ঝড় কখনো সূতোছেড়া ঘুড়ি
আশ্রয় মগডাল অথবা যেথা সেথা
চালশেতে ফুরালো প্রদীপের তেল।
তারপর শলতেটায় অপেক্ষার ছাই
অর্থহীন অনুভূতি বিষন্ন সুর
শরীরের ভর বয় বাঁশের লাঠি
ছোট পায়ের ছোট ছাপ
ধুলোয় পূণ্য ধুলোয় পাপ
কিছু তার কুয়াশা বাকি সব ভুলেছি।
তারপর কে জানে কোথা পথ শেষ
প্রতিটি নিশ্বাস ধীরে একদিন নিরুদ্দেশ।