ও মিটিমিটি জ্বলা মাঝরাতের নির্ঘুম নক্ষত্র বন্ধু
দিনের সূর্যের মতোই জানি তুমি একসাথে দেখতে পাও
অগন্তি খুপরি ঘরগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে
তাচ্ছিল্যভরে শিশুরা যেমন ছেরা কাগজ দুমড়ে মুচড়ে চারপাশে ফেলে রাখে
অথবা রন্ধনশালার আবর্জনাগুলো যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে।
তারপাশে জীর্ণশীর্ণ মলিন মুখায়ব গায়ে ধুলোমাখা এক শিশু
যে কখনো কখনো এক আধবেলা ক্ষুধায় কাতরায়
তোমরা কি বলতে পারো এই শিশুটা কেন গরীব?
বলতে কি পারো এই শিশুটির পিতা
যে কিনা এই শিশুটির মতোই গরীব ছিলো
হাড়ভাঙা খাটুনি গেছে ফসলের মাঠে
কপালের ঘাম ঝরে গেছে দিন মজুরের দলে
শেষ বয়সে যখন হাড়গুলো ক্ষয়ে ক্ষয়ে হয়ে গেছে বলহীন
তখনো সে যুগে যুগে ধারাবাহিক থেকে গেছে গরীব।
তোমরা কি বলতে পারো এই শিশুটির কেন অই শিশুটিরই দ্বিতীয় বার প্রত্যাবর্তন?
বলতে কি পারো এই শিশুটি কোনোদিনই হবেনা কেন বাসিন্দা কোন এক অট্টালিকার
নরম নকল ঝলমলে চাঁদের আলোয় তার মুখখানি হবেনা আলোকিত
ভেবে ভেবে তবে হবেনা সুখী যে আদৌ তার আহার নিদ্রায় নেই কোন অভাব?
জেগে থাকা নক্ষত্র তুমি বলতে পারো কি
অভাব অনটন আর চিকিৎসাহীন ছটফট করতে করতে বিলীন হয়ে যাওয়া
এর নাম কেন নিয়তি?
জানি তুমি বলবে না কোনোদিন
কেবল মিটিমিটি জ্বলবে আর নীরব সাক্ষী হয়ে থাকবে
নিষ্ঠুর অনন্ত এক নিয়তির।