একুশকে জ্যোতি ছড়াতে দেয়নি  
উপনিবেশিক মন , পশ্চিম মধ্যপ্রাচ্য এর নীরব আগ্রাসন
হিন্দির হুটহাট ফিল্মি সঞ্চালন  
গোলক ধাঁধার গোলকীকরন ।


নিঃশব্দে নীল চাঁদের আলোয় শহীদের ছায়াবত অ্যালিয়েন-দল’র ঢাকায় আগমন
ভাষা-শহর ঢাকা দর্শন – একমাত্র মিশন ।
এক কবির ভাবদৃষ্টি অ্যালিয়েন্দের পিছু পিছু  
গভীর রাতে এক ব্যবসায়ী -রাজনিতিকের দপ্তরের সামনে থামলেন ওরা  
বিবশ বধন কি যেন ফিশফিসানি – যেন  পুঁজির নাগিন-ঝাঁটানো ওঝা  
হয়ত তালিকা হচ্ছে একুশ-তেজারতিদের ।  
কিছুদূর উড়ে থামলেন ব্র্যাক’র উদোম বারান্দায়
বাংলা বর্ণে উন্নয়ন-উতলা হওয়া কি খুবী দুষ্কর – এমন আলাপ- আন্দাজ কবি মনের ।


প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কাম অ/কবির বাড়ীর ভিতরে না গিয়ে বলাবলি করলেন
কালো আরক্ষী আসবে নিশ্চয়ই  
সামনে নির্বাচন এবং উনি মুগাবের বঙ্গ-জুনিয়র ।
সেখান থেকে অভিজাত অলিগলি পেরিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বালুর ট্র্যাকবিহিন ফটকে
এক ডজন শিপন শাড়ি সাথে থাকলে ভাল হত – একুশে বিদেশী উপহার
বকশি বাজারেই দেখা হতে পারে এরকমেই শব্দাবলী কানে আসিল
বিশেষজ্ঞ প্রান গোপালের  কাছে নিশ্চত  হওয়া যেতে পারে ।  
গুলশানে প্লট পাওয়া কবির বাড়ীর সামনে দাঁড়িয়ে  মুচকি হাঁসির অ্যালিনিয় কোরাস
কাব্য রসে ঢলঢল , তারায় ঢাকা ঢাউশ-ঢাকায়    
বাংলা হরফে প্লট মেলে – একজন মৃদুলয়ে শোনায় ।  
ইংলিশ সাইনবোর্ডের রঙ্গিন সারী দ্যাখে আদালত কিঞ্চিৎ শব্দিত  হয়
ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের গেইটে  এসে উচ্চগলা শানিত হয়  
এরকম স্কুল চরে হাওরে পাহাড়ে নাই  সংবিধান-গীত নাহি হয় ।  
কবির সহসা অনুভব ; অ্যালিয়েনরা রাজনীতি সচেতন , গ্রামীণ টি-টেবিল কিংবা হামিদিয় সাংসদসম ।
ভোরের  আভাসে ছুটলেন বাংলা একাডেমীর দিকে , ঘেরিত লিও কান স্থাপত্য আর    
কনক্রিটীয় কদর্য , অভাষিক কাক , কার্বন দ্যাখে দ্যাখে ।
বিদায় নিল আগামী সূর্যের আগে আশাবরি রাগে
বাংলা-দরদী অ্যালিয়েন হয়ত আসবে ফিরে
বুড়িগঙ্গার তীরে জীবনানন্দের স্বরে ।