বিমোহিত হই বেশ কিছু বিমূর্ত চিত্রে  
অক্ষিতে মনে ও চিত্তে ,
তাকিয়ে থাকি বঙ্গীয় সৈকতের মাঘীয় মগ্নতায় – অতিনিরবে ,  
যেমন তাকায় চাষি  
ধানের ডগায় লাউয়ের মসৃণ মধ্যগায় কিংবা ঝিঙ্গে ফুলে ,  
যেমন দলহীন কবি তাকায় কার্তিকের চন্রিমায় ।


বিমূর্ত চিত্র আত্মবোঝে বুঝি
আমি তখন চূড়ান্ত একনায়ক-রাজা  
যেমন গৌতমীয় বোধে আসে নির্বাণ
অহিবিহিন বিশ্বাসী পায় নৈকট্য সাতআসমানের
আর সমাধান খোঁজে জৈবনিক সাতসতেরোর ।    


বিমূর্ততার সাথে হারাই খেলি লুকোচুরি
বিমূর্ততার মাঝেই এলোপ্যাথিয় সুরে সরবে সরি
ভাবে ভবকে বাউলিয়ানায় ভাবি ।


জয়নুল গ্যালারির প্রদর্শনী থেকে বের হলে  
একটা পরম নান্দনিকতায় ডুবে মধ্যবিত্তীয় মন ;
অন্তত কিছু সময়ের জন্য
যেমন থাকে কবিতা পাঠশেষে কোন বোধিত কাব্য-প্রেমিকা  
একটি কর্কশ হর্ন না শোনা অবধি, লাগুয়া হাসপাতালের মোড়ে ।  
পুঁজি-পুঁজের পীড়নে পেরেশান  পদ্যচিত্রের পালক পুচ্ছ  ।