ফাগুন রাতের বিজলীমেশা বারি  
নাহা  সেরে স্বস্তি পায় নষ্ট নগরী  ;  
ভিজে ধূলা, রিক্সা, আম্রফুল , মজদুর, কোচিং- ফেরত কিশোর-কিশোরী ,
ক্লিনিক-পথের হিসেবি রোগী-সহকারিণী    ।    
ভিজে কালো কোটে উঠতি উকিল কোর্ট  মোড়ে
বৃষ্টি-রীট নিয়ে চিন্তা আছে হয়ত মগজ মাঝারে ;
বৃষ্টিসজল  নূরহোসেন ফলক স্পষ্টত বোঝা যায়  
বিচলিত হাইব্রিড  প্রতিনিধি মার্সিডিজে মচকায়
এশার প্রাক্কালে ধ্বনিত  হয় ‘কল্যাণের জন্য এসো’
ঢাকেশ্বরীতে কল্যাণী ঢোল বাজে,  সাথে বিজলী আলো ।    


রমনার গাছপালা দ্রুমলতা বৃষ্টি রসে  উছলায়
যেন পেয়ে গেছে দ্রাক্ষাসুধা,
যেমন পেয়েছে পুরো প্রানস্বাদ ক্ষুদে প্রাণী,  বিনা আন্দোলনে,
খুশী প্রানীরক্ষা দল – তবে নেই কোন আলোড়নে ।      


মেঘ-বৃষ্টি মেগা কল্পে অতিচুমু হানে    
সোনালি কর্তার রূপালী ডিনার তখন তারকা হোটেলে ডলার দরে  
সাথে উড়ে বসন্ত-কোকিল ,ঋতুর পাপিয়া,
ওরা আসে পথ  বৃক্ষ বন নর-দল জ্বালাইয়া  
বদ্বীপতন্ত্রের ফাঁক ফুটো  দিয়া  ।
  
নগরে ফাগুন জমায় শাহাবাগের ফুলকুঠির
বাটে বাটে ফুল ভিজে, আত্মা ভিজে ,  
কিছু কিছু উঠে যায় শীর্ষ শাখে  ;    
ফাগুন বাতাসে তরণী  দেরীতে সদর ছাড়ে  
বুড়িগঙ্গার বিবর্ণে দখিনে তাকায় দূরের সারেং    
বিবশ সময় কাটায় - নষ্টজল তলে, হাতে মুঠোফোন– নানারং  ।


বসন্ত-বৃষ্টি মিশ্ররাগ তোলে বিচিত্র  মানুতে  মেজাজে মওজে,  
মিলিত  সারেঙ্গি বাজায়  কূলের কোকিল, বিটপী, ভ্যানের বেল ;    
তৈলাক্ত তথ্যাদি চ্যানেলে চ্যানেলে, মজেনা  জন আর জল  ;
তবে বৃষ্টি চায় , চায় সবুজ সকলে- সকল ঋতুতে,
মন্ত্রকরা অপারগ  – পরাগে, এটাতে এবং ওটাতে,  এপাড়ে কিংবা ওপাড়ে ।      


ঢাকা
০৬।০৩।২০২০