কৃষ্ণচূড়াগুলো খুবই প্রকটভাবে দৃশ্যমান
ফ্যাশান-সচেতন উর্বশীর লাল ঠোঁটশলার মতন
চোখ ধাধানিয়া রূপে , মনভরানিয়া ঝাঁপে ।
কনক্রিটীয় কর্কশতার কাছে ওদেরকেই বেশী কৌষিকী মনে হয়
ওরা কারনে চাহনিতে চুপচাপ, মৃদু দুলদুলানিয়া
সং সংসদের চৌহদ্দিতে ।
স্পারসো নেয়না কোন লালফুলের মহাকাশীয় ছবি
কিন্তু ওরা নির্মায় নিকট-নীলাকাশে লাল নেকলেস ,
সেনানিবাসে ওরা বিরাজমান জলপাইয়ের সাথে কন্ট্রাস্টে ,
গনভবনে কাব্যিক কম্পমানে ।
ওদের রঙেই, সউদিতে মানায় বামা মেলানিয়া ,
বাংলার মাইয়া মাতায় মেপে মেপে মাঠে মলে মহলে মেলায় ।
ভাস্কর খালেদের অপারাজেয় বাংলা কৃষ্ণচূড়ার ছায়ায় আপ্লুত
নান্দনিকতার নগরদণ্ডে ঢাকাকে কৃষ্ণচূড়া দিল লালছাপের ভাসমান স্থাপত্য ।
দুষ্টু কিশোর কসরত করে কৃষ্ণচূড়ার শাখে , ফাঁকে
যেন কোন বস্তি শিশু বনে গেল কার্ষ্ণি, কিংশুক
হুমায়ূনের পাতার বাঁশি হাতে মুখে।
কৃষ্ণচূড়ার ক্রিয়ায় চীন-বাংলা মৈত্রী কেন্দ্র যেন ঘেরা মাওয়ের রঙে ,
মোহন মৈত্রীতে মাঙ্গলিক কৃষ্ণচূড়া দুলবে বেইজিঙে , দুলবে প্রেমময় যুগল ;
ক্লিষ্ট রোহিঙ্গা খাবে ছালুন ,পাবে সুভগ , লাফাবে ব্যাঙে ঢঙে
সাঁতরাবে নাফ থেকে ইরাবতী , ঝুপঝাপ , মুক্ত স্বচ্ছ জল ।
মিরপুর, ঢাকা
০৭।০৪।১৮