শ্রমিক জীবনে বাঁচার তরে  
তিস্তা ছেড়ে বুড়িগঙ্গা’র পাড়ে আসে, অনেক জীব  
তাড়িত-তরাসে  থাকে , অনিকেত হয় বা পরিযায়ী ;  
জীবনের কাব্যে ছন্দ আনতে সেই জীব  
কখনও রিক্সা চালায়, কখনও কুলি , কখনও  রং মিস্ত্রী
কখনো পোশাক শ্রমিক , বিচিত্র লীলা সেই মানবভুমে      
তবু স্পন্দন আসে না পকেটে, পথে, পরানে  ।
  
শত বছরেও শ্রমিকের গায়ে সুবাতাস লাগেনি
গাঙ্গেয় বদ্বীপে বা তার সতীর্থ দ্বীপে, তটে ।
ওরা কান্দে আশুলিয়ায়
ওরা কান্দে খুলনায়
ওরা কান্দে মালনিছড়ায়
ওরা কান্দে সারা দুনিয়ায়
যেমন কান্দে মাটি , পানি , পবন
লোকাল-গ্লোবাল পুঁজির দানবীয় দাপটে ।


সবাই চিনে শ্রমিকদের -সরল মেহনতি ,  
যেমন চিনে  চাঁদ সুরজ  কাক-পক্ষী    
ওদের মাড়িয়ে মিচকে মালিক ও মাফিয়া  
পাষান পুঁজির কুপদ রচে, গড়ে বিবিপাড়া ,
দিতে চায় কুজগ্রহে পাড়ি ।
ওদের ভয় পায় বটবৃক্ষ , বৈশাখী বিটবি , বাউল বসতী  
ওদের ভয় পায়  সুসঙ-সুমেশ্বরী ।
  
শত বছরেও ছন্দ নেই  শ্রমিক-জীবনে    
যেন বিষম বিশ্বের অনল ধারা, যেন পুড়ছে দোয়েল, সভ্যতা শ্মশানে ;      
কুটিলক্লিষ্ট বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ , সকল বৃহৎপতি ; লাজহীনে ।  
লজ্জাবতি গুল্মের  উপর একটি অধিবেশন ডাকা যেতে পারে    
পহেলা মে’তে ; যেন স্পর্শকাতরতা বাড়ে বিশ্বে  
যখন পৃ-ভিনগ্রহী  বিপ্লবীদল উদ্বোধনী সঙ্গীতে ।    
          


মিরপুর, ঢাকা  
০১.০৫.২০১৯