গেরাম আর গেরাম নাই
মানুষ আর মানুষ নাই
গাঙ ও বাতাসও আর নাই আগের মতন -  
আওড়ান একজন মাইমল , গলায় পৈতা গায়ে ধবল পিরান
হাওর এক্সপ্রেসে যেতে যেতে ।  


স্ত্রী খেলারানী’র ত্রিশ বছর আগে ত্রিশের কোঠায় স্বর্গে পাড়ি    
তাদের যুগল প্রনয়-পাণী পরতে পরতে ছিল প্রাণময়, এখন নিসঙ্গ রসে নিমগ্ন ।  
ধনু নদীর ধারে ভারে তিন সন্তান পালতে পালতে
এক সময়ের মাড়ূক  মাইমল পঞ্চাশ পেরুয়  
কব্জিতে শুরু কমজোরের আহাজারি সাথে মহাজনী কচকচানী  ।

মিইয়ে যাচ্ছে মাইমল
মিলেনা তেমন ভূলোকী ভূতি  
এখন  শুধুই স্বর্গের অপেক্ষায় ;  
নাতি নাতনি দেখে দ্যাখে প্রশান্তি কুড়ায়  
আগুল বার্ধক্যে তনু-নদে পড়ছে চর কোনায় কোনায়  
কে ধরবে তারে – ডুবছে চুপচাপ- ধরার বাকী সময়
নিরবে কাতরায় আর কাঁদে -যেন বিমূর্ত চলচিত্রের এক দৃশ্য-ধ্রুপদিয় ।  


হাওড় এক্সপ্রেসের জানালা দিয়ে যান্ত্রিক জোনাকি চেয়ে চেয়ে
গভীর রাতে ঘুমায় খয়েরী সিটে
হয়ত খেলারানী’র  শুভ্র হাত ধরে চড়বে স্বপ্নিল-ডাহুশ ডিঙ্গিতে    
তখন রঙ্গিন মৎস্য মেলা ধনুতে , ধন-ধান্যের দাপট দুপাড়ে, মুক্ত দোয়েল দ্যোতে ।


মিরপুর
২৬।১২।১৮