নাড়ীর স্পন্দন প্রায় স্তব্ধ
একটু একটু শ্বাস যায় আসে
আঁখিকোণে আখেরি অশ্রুর শীষ ,
অন্তিম পথে আস্তে আস্তে নেয়া হল নদীটিকে
নদীটি ছিল খরস্রোতা - একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা মতো তেজী বেগমান
ওর জন্যে মুক্ত ছিল কিছু জনপদ চাইল্লা শাপলা
ওই থামিয়ে দিয়েছিল পাক পাথরের ভ্রষ্ট শিলা ,
সুধা ছিল বাতাসে পানিতে পাড়ের পাতায় পাতায়
নদীটি পরম পরিখা হয়ে স্থির চিত্তে থাকে দাঁড়িয়ে পুরো একাত্তরে যেন একাই কয়েক বেটেলিয়ান ,
সুনিশ্চিত করেছিল বিচরণ মুক্তি বাহিনীর
উলু দিত অহর্নিশি ফুল পাখি জংলী কিশোরী ,
তারামন বিবি তারা গুনে গুনে আর পদ্য গেঁথে মনে মনে সাতার কেটেছে এর পাড়ে বসে
কর্নেল তাহের শেষ সুস্থ হাঁটাটা হেঁটেছে এর পাড়ে - বানিয়েছে দেশমুক্ত করার নিখুঁত নকশা ;
আজ নদীটি নিষ্প্রভ
শহীদের বেথিত বদনে তাকায় দূর থেকে
ভারী ভর্ৎসনা পায় ক্লীব সাহেবরা ,
নদীটি ফিরতে চায় একাত্তরে
নদীটি নাচতে উন্মুখ নজরুলের নূপুর নড়িয়ে