একটি প্রেতাত্মা উড়ছে পুরনো নগরে  
হৈমন্তী বাতাসে নীরবে হামীর রাগে
চারুকলার হাজার যুগের আলায় ঢাকা তার বুক পিঠ  
যেন ভরা ভরা শক্ত অক্ষরের কোন উপচিত উপন্যাস উঁকি দ্যায়          
কেহ কেহ পড়ে, প্রেস লোফে প্রভা মেপে ।  


দেখে না দেখার যারা
বোঝে না বোঝার যারা  
প্রাজ্ঞ সবি যেন অজ্ঞ - তন্ত্রে মন্ত্রে আত্মহারা ;      
তবে টের পেয়ে যায় প্রেতাত্মার পদ বীণা  
সন্ধ্যার কুয়াশা
রমনার পাখি পাতা
টিএসসি’র লাল দূর্বা  
শহিদ ডাক্তার মিলনের স্তেথস্কুপ
চটপটে যুবকের খাঁড়া স্নায়ুকোষ  
রাজপথ-ছোঁয়া কোন শুভ্র-নেতা  ।  

তারপরই সহসা  উঠতে থাকে  ঊর্ধ্বাকাশে  
নূরানি প্রচ্ছায়া দিগন্তে ছড়িয়ে
জড় হয় নিমিষে উন্মুখ জনতা –শ্লোগান যাদের মগজে
নব বুদ্ধিজীবী হাঁটে সদ্য রঙা ফুটপাতে  
চলে আসে আরক্ষা বহর সামন্ত আদলে    
পিষ্টের কঠিন বর্ণ দেখে কেহ কেহ ভাসে এলারজি ত্রাসে
প্রান্ত প্রানি হয় প্রদৃপ্ত -  প্রচ্ছায়া  পরশে ।


১২।১২।২০২০