তরুণ-যুবা কয়েকজনে  মিশে যায় মশাল মিছিলে  
মগড়া নদী  ছুঁয়ে ছুঁয়ে  হাঁটে, বাতাসে অস্পষ্ট বার্তা  ধরে  ছাড়ে  
চোখে মুখে  পৌষ বিলি কাটে মিষ্টি আলে    
বড় পথে  রেইনট্রিগুলো ছড়ায় প্রনয়-ছায়া , মস্তক উঁচু র সাপট  মেলে মেলে ।  
একাত্তরে বেঈমান পাক জান্তা এলো , ওরা  যুদ্ধে গেল- প্রাণে মৃত্তিকার প্রণয়  
ঘরে ঘরে প্রতিরোধী কানাঘুষা  -সচল মুজিব  বায়ব  ঈশারা পাঠায়,
থমথমে হরিখালি   শ্বাসবিহীন নেত্রকোনার হাওড় বাওড়  বিল  সজনা
বায়ুজীবী মায়েদের শুভ্র-দোয়া সাত আসমানে ঝলমলে  - যেন রাবেয়া বসরী এক এক জনা  ।  


প্রসারিত  পূর্ণিমায়  ওরা  ফিরে রাজসিকে
জান  বাজি করে মুক্তি আনে মহুয়া- মলুয়া তটে
তের তিতুমিরের তেজে ,  
হাতে  অস্ত্র মুখে দেড়েল বাঙ্কার  
উঁকি দ্যায় চে’র  সাগর
মগড়া মহাসাগর হয়ে ছুটে
উছলায় ছলাত ছলাত  জীবন জীব থেকে জীবে,  
সর্ষে ফুলে ঠাঁসা সুধা –মনে হয় মুক্তি হাত বুলায়  
পাখীরা ডিঙ্গাপোতা থেকে  মহাকাশে  অগ্রজ-উড়ল সড়ক বানায় ,  
ঋষি পাড়া বনে যায় ঋদ্ধপুরে  
তরুণজন ঋষভ  হয়ে ভাসে পুরনো  শৈশবে  ।    
আকাশে স্লাইড বেড়ায়  কাব্যিক  তরুণনামা  সম
সাফায়েত
নুরু  
বাচ্চু
সামছুদ্দিন
দ্বিন ইসলাম  
অযুত  শ্রদ্ধার  বাগানে  তারার মতো তাঁরা
আর  নাহি হয় উদয় এমন তারা ।


(অগ্রজ মুক্তিযোদ্ধাদের কথা মনে রেখে )  
২৬।১২।২০২০