সবুজ টিয়ে কালো হলো, কাক হলো যে সাদা
ধবল বকটি লজ্জা পেয়ে মাখলো গায়ে কাদা।
চিলরা এখন পিঁপড়ে গিলে, চড়ুই গিলে বাঘ
ময়ূরগুলো নেচেই চলে আষাঢ় থেকে মাঘ।
এসব শুনে প্যাঁচা মশায় চোখটা খোলেন দিনে
আর কিছু তো দেখতে না পান সর্ষের ফুল বিনে।
উটপাখিটার ইচ্ছে জাগে ভাসবে এবার মেঘে
নদী ছেড়ে ছুটছে সারস তরুর দিকে বেগে।


ময়না হঠাৎ চুপ হয়ে যায়, শালিক বলে কথা,
বাবুই পাখি আকাশ ছেড়ে বুনছে মাটির লতা।
টুনটুনিটা রোদ পোহাতে উড়ছে মরুর পথে,
ঈগল পাখি দিচ্ছে আদেশ তৃণভোজী হতে।
ঝুটি খুলে কাকাতুয়া দিচ্ছে ফেলে ফিতে,
বউ কথা কও চাইছে যে তার নাম বদলে নিতে।
ছন্নছাড়া পানকৌড়ি হচ্ছে সুবোধ বালক,
মাছরাঙ্গা ভাই যুদ্ধে যেতে রাঙ্গাচ্ছে তার পালক।


শীতের কোকিল গ্রীষ্মে আসে দেয়না কুহু ডাক,
দোয়েল এখন গান ছেড়েছে, করছে বাকুমবাক।
সাদা পায়রা অশান্তিতে জিতছে পুরস্কার,
কালো শ্যামা কাজ করছে শান্তি প্রতিষ্ঠার।
মজার দেশের আজব রীতি, পাখির আজব স্বভাব,
এতো কিছুর পরও তাদের নেইকো সুখের অভাব।
যাবে নাকি তোমরা সবাই আজব পাখির দেশে?
ডানায় ভেসে উড়েই যাবো রঙিন পাখির বেশে।