মহাবিশ্বের রহস্য


হে মহাবিশ্বের মহারাজ,তুমি বিশ্বভ্রহ্মন্ড করিয়াছ সৃজন,
সৃষ্টির রহস্য তুমি লুকাইয়াছ, করোনি উন্মোচন।


পনের শত কোটি বৎসর পূর্বে মহাবিশ্বকে রাখিয়াছিলে করিয়া অতি পরমাণু,
মহাবিস্ফোরণ ঘটাইয়া সৃজিলে ছায়াপথ আর গ্রহাণু।


সপ্ত নক্ষত্র  দিয়া জ্যোতিষ্কমন্ডল গড়িয়াছ এ  বিশ্বভ্রম্মান্ডে,
গোল, সর্পিল আর অবয়বহীনে নভশ্চরকে রূপাইয়াছ বাষ্পপিন্ডে।


বেটেলগমকে বৃহৎ করিয়া লুব্ধককে করিয়াছ উজ্জ্বলতম,
ধরণীকে বাসযোগ্য করিতে সূর্য্যিরে করিলে নিকটতম।


জীমূতবিহীন তমসাচ্ছন্ন আকাশে দিয়াছ ঋক্ষমন্ডলী,
কালপুরুষ, ক্যাসিওপিয়া আর দিয়াছ সপ্তর্ষিকুন্ডলি।


ধূলিকণা, নভশ্চর  আর বাষ্পকুন্ডে গড়িয়াছ ছায়াপথ,
কসমিক ইয়ার হই প্রয়োজন ঘুর্ণন করিতে রথ।


ধুমকেতুরে করিয়াছ উজ্জ্বল ঝাঁটার ন্যায় দীর্ঘ বাষ্পময়,
হেলবপ নাকি সর্বাধিক উজ্জ্বল কহেন জ্যোতির্ময়।


অষ্ট গ্রহের সৌর পরিবার ঘুরিছে ক্রমাগত,
ধরণী মোদের ঘুরিছে চৌদিক পাহিছে আলোক যত।


সমস্ত শক্তির উৎস করিয়া সূর্য্যিরে করিলে দান,
সূর্য্যির কাছে অন্য সৃষ্টিরে ঋণি করিয়াছ হে মহান।


সূর্য আর ধরনীর মধ্যে চন্দ্র আসিলে ঘটাও অমবস্যা,
পূর্ণিমা তিথি হই ধরণীকে চন্দ্র- সূর্য করিলে গ্রাস্যা।


এই অসীম সৃষ্টির মধ্যে ক্ষুদ্র মোরা, করি অহংকার,
বুঝিবার সাধ্য নাহি মোদের রহস্য তোমার।