সদা উতলায় রই ঘোর, এই সংক্ষিপ্ত সফর মোর,
স্বল্প নিশির সংসার ভ্রমণে যাইতে হইবে বহু দূর।


অনন্ত প্রভাতের যাত্রী আমি গন্তব্যের নাহি শেষ,
কঠিন দড়িয়া পাড়ি জমাবো বাহনের নাহি রেশ।


শুরু মোর হইয়াছিল জনক মস্তিষ্কের ভাঁজারে,
জননী মোর ঠাই দিয়াছিল তাহার জঠরে।


মন্দহীনে ছিলাম বেশ মাতৃকার উদরে,
অশান্ত মন বিদ্রোহীল না থাকিতে কুটরে।


দশকাল পর এলাম যখন মুক্ত সমীরণে,
দৃষ্টিলাম ভূবন,পাহিলাম চলন মাতৃবিহনে।


ইন্দন, বারি, মৃত্তিকা এই ত্রয়ের বন্ধনে,
নিশি মোর শুরু হইল ক্ষুদার আলিংগনে।


মধ্য নিশি হেলায় ফুরাইল নবীন যৌবনে,
লৌহ বিদুৎ বহিল অংগে গহীন শব্দহীনে।


কনীনিকায় নামিল কামলালসা লাবন্য বদনে,
বিমুখ হইলাম রাজধিরাজের মন্দের কারণে।


প্রান্ত নিশি আসিলে মোর তনু হইলে আবল্য,
চেতনা জাগৃল অন্তরে ক্ষয়িতে নিশি কল্য।


দ্বিপ্রহরে জাগৃত আমি চাহি মনিবের অনুকূল্য,
মনিব সুধায় একে দিলাম সত্তর হইবেনা সমতূল্য।


নিশির প্রান্তে শূন্য হীয়ায় কাকুতি অজরে,
প্রভাতের ঝুলি মোর রইল অসার, এই সংক্ষিপ্ত সফরে।