ভেবেছিলাম কবিতা লিখবোনা আর কিন্তু
চারদিকে এতো অনিয়ম, অবিচার আর ধর্ষকের উল্লাসে
স্থির থাকতে পারিনা কিছুতেই।


মাঝরাতে ঘুম থেকে চিৎকার করে উঠি,
হামাগুড়ি দিয়ে খুঁজতে থাকি দেয়ালে ঝুলে থাকা বন্ধুক,
ওরে ধর্ষকের দল, তোদের বিরুদ্ধে আমার যুদ্ধ শুরু হোক।


ধর্ষনের পর মানববন্ধন, ফেসবুকে ঝড়, চাইনা!
পত্রিকায় ধর্ষকের বদলে ধর্ষিতার ছবি, চাইনা!
রাজপথে মিছিল, মায়ের বোনের আহাজারি, চাইনা!
বিচারের নামে প্রহসন,চোর-পুলিশ খেলা, চাইনা-চাইনা!


আমার আদালতে শুরু হোক এবার ধর্ষকের বিচার।
আমার আদালতে কোন উকিল নেই,
নেই যুক্তি তর্ক উপস্থাপন,
আছে শুধু কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি !
কড়জোড় করে প্রাণ ভিক্ষা চাও আমার কাছে।
এমন ভাবে চাও যেমন করে আমার বোনেরা
তোর কাছে লজ্জা ভিক্ষা চেয়েছিল অথচ রেহায় পায়নি!


শাস্তি হবে সেই সব স্বামীদের যারা সুন্দরী বউ রেখে পতিতালয়ে যায়,
শাস্তি হবে সেই সব পিতার  যিনি নিজে কন্যাকে পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়,
শাস্তি হবে সেই সব নেতার যারা কেরে নিয়েছে ভোটের অধিকার,
শাস্তি হবে, শাস্তি হবে  তাদের যারা ধর্মের নামে ভন্ডামি করে বেড়ায়,


শিশুদের হাতে স্মাটফোন হবে নিষিদ্ধ, বৃদ্ধাশ্রমে থাকবেনা কোন পিতা মাতা,
কর্মক্ষেত্রে পাবে নারীরা সমান সুযোগ,
যৌতুক-মহারানা বানিজ্য নির্মুল হবে কঠোর-হস্তে।


যেদিন শিশুর মুখে যখন হাসি ফুটবে, প্রেমিক-প্রেমিকারা নির্ভয়ে হাত ধরে হাঁটবে,
কৃষক পাবে তার ন্যায্য অধিকার সেদিন হবে আমার যুদ্ধের অবসান।


এরপর চিৎকার করে বলবো আমাকে ফাঁসি দিন, আমি আমার ফাঁসি চাই,
আমি আমার মৃত্যুর বদলে এ দেশে শান্তি চাই, বাংলাদেশের বিজয় চাই।