জ্যৈষ্ঠ মাসের এক বিকেলে বেরিয়ে পড়লাম কবিতার খোঁজে,
সঙ্গে শুধু কাগজ-কলম, মানুষের আবাস ছেড়ে
ছুটে চললাম এক অচিন বনে।
বনটা পেরুলেই সেই শ্যামল পাহাড় যেখানে এসেছিলাম
সহস্র বছর আগে প্রেয়সীর নাকের নোলক খুঁজতে,
আজ ছুটে এসেছি শুধু কবিতার টানে।
উঁচু পাহাড় থেকে যদি মেঘ বালিকার বাড়ি দেখতে পাই।
তাকে ভেবে যদি একটা কবিতা লেখা যায়
সেই ভেবে পথ চলা।


পাহাড় বেয়ে যখন চূড়ায় উঠলাম তখন সূর্য ডুবুডুবু,
কেউ কি আছেন?
আমার গলার শব্দ শুনে মাচার ঘর থেকে
বেরিয়ে এল এক সাঁওতাল নারী,
ঘন কালো চুল, চ্যাপ্টা নাক আর পুরু ঠোঁট দেখে
মনে হলো একটি চড়ুই ফুরুত করে উড়ে গেলো নীল আকাশে
পিতলের গেলাসে জল বাড়িয়ে-
কতদিন পর এলে আবার বুঝি যাবে চলে-
কার জন্য লিখবে আজ কবি?
আনমনে অস্পষ্ট স্বরে বলে উঠি ‘মেঘবালিকা’
এই মেয়ে নাম কী রে তোর? জিজ্ঞেস করলাম।
আমাকে চমকে দিয়ে মেয়েটি বললো-
যাকে খুঁজতে তুমি ছুটে এলে এই দুর্গম পাহাড়ের দেশে
আমিই সেই-মনের মাধুরী মিশিয়ে লেখো আমায়।
তোমার শব্দের যাদু দিয়ে আমাকে সাজিয়ে দাও নতুন রূপে।
আজ ভরা পূর্ণিমা, থেকে যাও কবি!
আমি তখন তৃষ্ণা ভুলে তাকিয়ে রইলাম দূর পাহাড়ে।