যে কবিতা মানুষের বিবেক-আবেগ জাগ্রত করেনা
এমন কবিতা লিখতে চাই না।
যে কবিতা সত্য,সুন্দর,প্রেমের কথা বলেনা
এমন কবিতা শুনতে চাই না।

যে কবিতা রক্তে তোলে নৃত্য, হৃদয়ে দোলে প্রেম,
যে কবিতা শত্রুরে করে মিত্র, অন্তরে জাগে দেশপ্রেম।
যে কবিতা অন্যায়ের করে প্রতিবাদ, রাজপথে নামে মিছিল,
যে কবিতা পাথরে ফুটায় ফুল, জ্বালায় প্রদীপ মশাল।
এমন কবিতা এখনই লেখা চাই।


হে কবি-সাহিত্যিক,বুদ্ধিজীবী-সাংবাদিক, ছাত্র-শিক্ষক,
তোমাদের হাত ধরে কবিতার জয়ধ্বনি হোক।
উচ্চারিত হোক কবিতার পঙক্তিমালা,
কবিতা হয়ে উঠুক শোষণ ও ত্রাশের দমনাস্ত্র।


রাজন,তনু, মিতুরা চেয়ে আছে তোমার কলমের দিকে,
তুমি লেখো শকুনের নির্মমতা, নড়ে চড়ে বসুক রাষ্ট্রযন্ত্র।
ডাকা হোক জরূরী মন্ত্রীসভা, মিছিলে- সভায়
উচ্চারিত হোক কবিতার লাইন।


রবী,নজরুল,জীবনানন্দ,মাইকেল,নির্মলেন্দু চেয়ে
দেখো তোমাদের কবিতা হেরে যায়নি।
সোনার বাংলা, বিদ্রোহী,বনলতা সেন,
অমরত্ব পেয়েছে মানুষের হৃদয়ে।


কবিতা কারো হুকুম-আদেশ মানেনা,
কবিতা কারো মজুরী খাটে না,
কবিতা সত্য, নয় পরাধীন,
কবিতা জীবনচিত্র, কবিতা অমলিন।


হে কাব্য সৈনিকেরা-যুদ্ধে জাপিয়ে পড়ার এখনই সময়।
লাঞ্ছিত-নিপীড়িত মানুষ চেয়ে আছে তোমার ধারালো কলমের দিকে।
রচিত হোক এবার কালজয়ী বিশুদ্ধ কবিতা।