হে প্রিয় রজনী, এই দেখো আমি এসেছি ।
আমি এসেছি তোমারি বক্ষে,আলিঙ্গনে ।
তোমারি নিস্তব্ধতায়, তোমারি শীতলতায়।
আমি কিছুকাল ধ্যান মজিবো আর গিলে খাবো বিশুদ্ধ অক্সিজেন।


তুমি পৃথিবীর সব আলো নিভিয়ে দাও,
রাতের চাদর টাকে করো আলোহীন।


শুধু এ শহরের নব দম্পতির ঘরে আবছা আলো জ্বলুক!
জ্বলুক আকাশের তারা, আর জোনাকির আলো,
তুমি হও কৃষ্ণবর্ণ, নেমে আসুক ঘোর অমাবস্যা।
আমি আরও গভীরে যেতে চাই।
যেতে চাই সুড়ঙ্গপথে দূরে, আচিনপুরে!


রাতের গালিচায় নদীর কূল ঘেঁষে নরম বালির পথ ধরে
নগ্ন পায়ে নিঃশব্দে হেঁটে আসবে মেঘবালিকা।
তার পরনে থাকবে ধবধবে সাদা শাড়ী আর বাতাসে দোলবে দীর্ঘ কালো কেশ।


এ পৃথিবীর সব রক্তচক্ষু হোক আজ দৃষ্টিহীন,থাকুক তন্দ্রাচ্ছন্ন;
কোন অশুভ ছোঁয়া যেন না লাগে প্রেয়সীর গায়।
সে অন্ধকারেও ঠিক চিনে নেবে প্রেমিকের শ্বাস-প্রশ্বাস,
খুঁজে নেবে সেই চেনা শরীরের গন্ধ!
বুকের জমিনে লুকিয়ে অনুভূতির খেলাঘরে হারাবো দু’জন ।
পাহাড়ি ঝর্ণা বয়ে যাবে স্নানঘরে!
অতঃপর গভীর নিদ্রায় ডুব দেব হাশরের অপেক্ষায়।